Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪,

‘সরকার প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি ও জবাবদিহিহীনতাকে আড়াল করতে চায়’

মো. মাসুম বিল্লাহ

অক্টোবর ৬, ২০২২, ০৯:১৪ পিএম


‘সরকার প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি ও জবাবদিহিহীনতাকে আড়াল করতে চায়’

২৯ টি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে নিয়ে সরকার প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি ও জবাবদিহিহীনতাকে আড়াল করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর)  এক বিবৃতিতে  ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ধারা ১৫ অনুসারে ২৯ টি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই ঘোষণা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ধারা ১৫ অনুসারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ২৯ টি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করার মধ্য দিয়ে সরকার মূলত এ সকল প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি, বিশৃঙ্খলা ও জবাবদিহিহীনতাকে আড়াল করতে চায়। বর্তমান সময়ে তথ্য পাবার অধিকার মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। তথ্য অধিকার আইনে তা স্বীকার করা হলেও এই প্রজ্ঞাপণ তার লঙ্ঘন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে জনমানুষের বাক-স্বাধীনতা, মতামত প্রকাশ, সমালোচনা করার অধিকারকে খর্ব করে চলেছে। খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, ভোটাধিকারসহ জনগণের সার্বিক নিরাপত্তাহীনতার দিকে সরকারের তেমন কোনো মনোযোগ নেই। অথচ কুখ্যাত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে ২৯ টি প্রতিষ্ঠানকে ক্রিটিকাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার (সিআইআই) হিসেবে ঘোষণা করছে।


তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী, দেশের প্রকৃত মালিক জনগণ। জনগণের কাছে সরকার জবাবদিহিতা করতে বাধ্য। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতা হচ্ছে সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে এমনভাবে সরকারি নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে যেখানে জবাবদিহিতার কোনো বালাই নেই। একের পর এক বিবর্তন মূলক আইন, বিধান, অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে দুর্নীতি, লুণ্ঠনকে আইনি বৈধতা দেয়া হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ২৯ প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা এমনই একটি অপপ্রয়াস মাত্র। ক্রিটিকাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার হিসেবে রাষ্ট্রীয় ২৯ প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে এবং জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্বকারী কুখ্যাত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।

এবি

Link copied!