Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪,

কোনো প্রতিবন্ধকতাই খুলনার সমাবেশ রুখতে পারবে না: ফখরুল

মো. মাসুম বিল্লাহ

অক্টোবর ১৯, ২০২২, ০৮:১০ পিএম


কোনো প্রতিবন্ধকতাই খুলনার সমাবেশ রুখতে পারবে না: ফখরুল

কোনো প্রতিবন্ধকতাই খুলনার বিভাগীয় সমাবেশের জনস্রোতকে রুখতে পারবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের দুই শরিক জাতীয় দল ও ইসলামিক পার্টির সাথে বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

তিনি বলেন, ‘সমাবেশে এসবের (পরিবহন ধর্মঘট) এতোটুকু প্রভাব পড়বে না। ময়মনসিংহে আপনারা দেখেছেন কিভাবে মানুষ এসেছে। ট্রলারে করে, নৌকায় করে বিভিন্নভাবে। একইভাবে রিকশায় করে, রিকশাওয়ালারা মানুষজন নিয়ে এসেছে তারা ভাড়া পর্যন্ত নেয়নি। এটাই হচ্ছে জনগণের অংশগ্রহণ।”

‘খুলনাতেও দেখবেন যে, তারা (ক্ষমতাসীনরা) যত গাড়ি বন্ধ করুক, যা কিছু করুক একইভাবে জনগণ গণতন্ত্রের দাবিতে উপস্থিত হবে খুলনার সমাবেশে ইনশাল্লাহ। আমরা কোনো প্রতিবন্ধকতা, কোনো হরতাল, কোনো কারফিউও না মেনে সেখানে (সমাবেশ) উপস্থিত হবোই।”

গত ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহের বিভাগীয় সমাবেশের প্রসঙ্গে টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ময়মনসিংহেও এভাবে তারা গাড়ি-ঘোড়াসহ পরিবহন বন্ধ করেছিলো। ঠেকাতে পারেনি। আপনারাও ছিলেন সবাই। ওরা জনগণের ঢলকে প্রতিরোধ করতে পারেনি। খুলনাতেও সেটাই হবে।

আগামী ২২ অক্টোবর খুলনার সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় সমাবেশ করবে বিএনপি। এই সমাবেশকে সামনে রেখে মালিক শ্রমিক সংগঠনগুলো ২১ ও ২২ অক্টোবর খুলনা থেকে সব বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।

সরকারি দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে সভা-সমাবেশে বাধা দেয়া হবে না বলা হলেও কেনো এই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ পর্যন্ত কী আওয়ামী লীগ তাদের কোনো কথা রাখতে পেরেছে? রাখতে পারেনি। কারণ তারা বিশ্বাসই করে যা বলব, তা করবো না। ঠিক উল্টাটা করে। সুতরাং আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।”

‘বিএনপি আরেকটা ১/১১ সৃষ্টির দিবা স্বপ্ন দেখছে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এরকম বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা(১/১১) ওরা করেছে তো। সেই অভ্যাস তাদের আছে। সেজন্য তারা এই কথা মনে করে।”

‘আমরা কোনো দিবা স্বপ্ন দেখি না। আমরা স্বপ্ন দেখি একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের, আমরা স্বপ্ন দেখি মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার, আমরা স্বপ্ন দেখি সত্যিকার একটা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার।”

‘আওয়ামী লীগও রাজপথে নামবে’-এই রকম প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ওখানে তো কোনো আপত্তি নাই। উনাদের সেই গণতান্ত্রিক অধিকার আছে রাজপথে নামতেই পারেন।”

‘‘ কিন্তু একই সঙ্গে সমস্ত বিরোধী দলকে তাদের সমস্ত অধিকার নিশ্চিত করতে হবে-এটা সরকার হিসেবে তাদের দায়িত্ব।”

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় প্রথমে জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা এবং বিকাল ৫টায় ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরীর সঙ্গে দলীয় নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয় দফায় সংলাপে বসেন বিএনপি মহাসচিব।

দুইটি বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় দলের অন্য সদস্যরা হলেন, রফিকুল ইসলাম, শামসুল আহাদ, সারোয়ার আলম, লুতফুল হাবিব, মাসুদ চৌধুরী, সাইফুল আলম রুমেল, শহীদ আলী, বেলায়েত হোসেন শামীম, আতিকুর রহমান ও মো. রফিকুল ইসলাম।

ইসলামিক পার্টির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন, আবুল কাসেম, এজাজ হোসেন, সিদ্দিক আহমেদ নোমান, সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী, আব্দুর রহমান, আদেল উদ্দিন মাহমুদ, সুজন মাহমুদ ও সাইফুর রহমান।

টিএইচ

Link copied!