Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

সরকার দেশ ও স্বাধীনতা নিয়ে তামাশা শুরু করেছে: সা‌কি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ১, ২০২৩, ০৫:২৭ পিএম


সরকার দেশ ও স্বাধীনতা নিয়ে তামাশা শুরু করেছে: সা‌কি

গনসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ব‌লে‌ছেন, এই সরকার বাংলাদেশকে নিয়ে, স্বাধীনতা নিয়ে তামাশা শুরু করেছে। মানুষ যখন বাজারে গিয়ে চাল কিনতে পারে না, তখন আওয়ামী লীগের অনেকেই পাকিস্তান এর উদাহরণ দিয়ে বলেন তাদের চেয়ে ভালো আছি। আওয়ামী লীগের লোকজন এখন বাজারে খারাপ অবস্থার তুলনা পাকিস্তানের সাথে দেন।

শ‌নিবার (১ এপ্রিল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গনসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে,সিন্ডিকেট ভাঙ্গো, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমাও ব্যানারে, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নামে হয়রানি মূলক মামলা প্রত্যাহার কর, শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে,"অবস্থান কর্মসূচি" তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

গনসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আপনারা জানেন গত কয়েকদিনে সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে নিয়ে কি ঘটেছে। আমরা সবাই এখন একটা গভীর উদ্বেগের মধ্যে আছি। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়ে সব কাজ করছে। গত ২৬ তারিখে প্রথম আলো নিউজ করেছে, যেখানে ভাত মাছ খাওয়ার কথা বলেছেন একজন দিনমজুর জাকির হোসেন। সেখানে একটি শিশুর ছবি দিয়ে খবর প্রচার করা হয়েছিল, প্রথম আলো ১৭ মিনিট এর মধ্যে ছবি সড়িয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবসান করেছে। সেই খবর প্রচার করায় গভীর রাতে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে আনা হয়। সারাদিন তিনি কোথায় ছিলেন তাও কতৃপক্ষ শিকার করেননি। তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে অন্য একটি বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। এক ব্যক্তির গভীর রাতে করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। একটা সরকার কতো নির্লজ্জ হলে এই চেহারা দাঁড়ায়। পুরো রাস্ট্র ব্যবস্থা ও আইন ব্যাবস্থা ধংস করে তাকে গ্রেফতার করে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তি‌নি ব‌লেন, দ্রব্যমূল্যের এই উর্ধ্বগতির জন্য বাজার সিন্ডিকেট দায়ী, টাকা পাচার দায়ী। তা সরকার স্বীকার করতে চায় না। সরকারের কাজ এগুলো সমাধান করা কিন্তু তা না করে মানুষ ও গনমাধ্যম এর গলা টিপে ধরছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ মানেই সংবাদ মাধ্যমের গলা টিপে ধরা। তথ্যমন্ত্রী আছে একজন, তিনি মিথ্যা কথা বলে সব কিছু জায়েজ করতে চায়। তারা বলে এটা নাকি স্বাধীনতার ভিত্তিতে আঘাত, এতো সহজেই স্বাধীনতার হুমকিতে পড়ে? আমি বলতে চাই আপনারাই ভয় ভীতি দেখিয়ে স্বাধীনতা হুমকিতে ফেলছেন। যেই সরকার জনগনকে সমস্যায় রাখে তারা স্বাধীনতার সরকার হতে পারে না। এই সরকার নানা সময়ে নানা কথা বলে ভোট বিহীন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য। তারা এখন নির্বাচনে হারবে বিধায় সব ধরনের নির্বাচন ভয় পায়। তারা বলে তারা নাকি ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন, মিথ্যা কথা। তারা বলে তারা নাকি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চিন্তা করে না, আবারো র্যাব একজন নারীকে হেফাজতে নিয়ে হত্যা করলো। র্যাবকে সরকার গুম খুনে ব্যবহার করেছেন।

তি‌নি ব‌লেন, আওয়ামী লীগ তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে গনমাধ্যমের গলা টিপে ধরে রাখতে চায়, মতিউর রহমানকে দিয়ে বাকি সবাইকে শিক্ষা দিতে চায়। আসুন সবাই মিলে তাদের ভয় ভেঙে ফেলি, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। রাতের আঁধারে ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে তুলে আনা যায় না, আমরা এই আইনের পরিবর্তন করবো। এই সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক তাই এটা পরিবর্তন করতে হবে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে, যেই কয়দিন ক্ষমতায় আছেন মানুষকে ভয় দেখিয়ে যাবে। আমাদের এইবারের লড়াই স্বাধীনতার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লড়াই। সবাইকে নিয়ে ঐকৃবদ্ধ হয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। মতিউর রহমান ও শামসুজ্জামান এর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তার নিন্দা জানাই, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চাই। আপনাদের গলায় গামছা পেঁচিয়ে নামাবো, সেই আন্দোলন শুরু হয়েছে।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন গনসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, গনসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু,গন সংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুইয়া,সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পপি রানী সরকারসহ গনসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

আরএস

 

 

 

Link copied!