নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ৫, ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ৫, ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বার্তায় তিনি এই শুভেচ্ছা জানান।
তারেক রহমান বলেন, “ঈদুল আজহা ত্যাগের উৎসব। এই উৎসবের মূল শিক্ষা হলো আত্মশুদ্ধি, আত্মতৃপ্তি ও আত্মত্যাগ। কোরআনের বাণী অনুযায়ী, আল্লাহর কাছে পশুর মাংস বা রক্ত নয়, পৌঁছে যায় মানুষের অন্তরের পবিত্র ইচ্ছা। এভাবেই আল্লাহর নৈকট্য লাভে মানুষ কোরবানি দেয়।”
তিনি বলেন, “দ্রব্যমূল্য, সামাজিক অনাচার ও নানামুখী সংকটের মাঝেও দেশের মুসলমানরা ঈদের আনন্দে উচ্ছ্বসিত। ফ্যাসিবাদী চক্রের পতনের পর এবার মানুষ কিছুটা স্বস্তির মধ্যে ঈদ উদযাপন করবে বলে আশা করছি।”
তারেক রহমান বলেন, “দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসনে রাষ্ট্র ও সমাজে নীতি, নৈতিকতা এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় ঘটেছে। এখন প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধভাবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নত নৈতিকতা ও বৈষম্য দূর করে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো। যাতে দুর্নীতি, লুটপাট ও টাকা পাচারের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।”
কোরবানির শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান
বিএনপির এই নেতা বলেন, “ঈদুল আজহা মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসব সব শ্রেণিপেশার মানুষকে একত্রিত করে, উৎসবের প্রাঙ্গণে তৈরি হয় সৌহার্দ্য আর সম্প্রীতির মেলবন্ধন।”
তিনি ঈদের ত্যাগের শিক্ষা বাস্তব জীবনে প্রতিফলন ঘটিয়ে মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগের আহ্বান জানান, যাতে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়।
মূল্যস্ফীতি ও সংকট নিয়ে উদ্বেগ
বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, “মূল্যস্ফীতি, খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম, পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে জনজীবন দুর্বিষহ। স্বল্প আয়ের মানুষ শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে দিনযাপন করছে। তাই ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। কেউ যেন অভুক্ত না থাকে—সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।”
তারেক রহমান তার বার্তার শেষ অংশে বলেন, “ঈদুল আজহা সবার জীবনে বয়ে আনুক সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। সমাজে গড়ে উঠুক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন। মহান আল্লাহর দরবারে এই প্রার্থনা জানাই। আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
ইএইচ