ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad
মাহিন সরকার

চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা রাজ্জাক পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

জুলাই ২৭, ২০২৫, ০২:২০ পিএম

চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা রাজ্জাক পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য

রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে আবদুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান নামের এক যুবকসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক রাজ্জাক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে।

রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকার এ তথ্য জানান।

গুলশান থানা পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে গুলশান থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। তারা সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

ঘটনার পর রাতেই সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য সাকাদাউন সিয়াম ও সাদাবকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অসদাচরণের অভিযোগে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।

এ ছাড়া, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু এবং সদস্য আবদুর রাজ্জাক বিন সুলাইমানকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আবদুর রাজ্জাকের ফেসবুক প্রোফাইলে দেখা যায়, তার নামের পাশে ‘রিয়াদ’ লেখা রয়েছে। আটক পাঁচজনের তালিকায়ও ‘রিয়াদ’ নামটি ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কয়েকজন সমন্বয়কের উদ্যোগে গত ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরু করে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। তবে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সামনে আসায় সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

এ ঘটনায় মাহিন সরকারের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো

আবদুর রাজ্জাক নামের যে ছেলেটা গ্রেপ্তার হয়েছে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে, সে পুলিশ সংস্কার কমিশনের মেম্বার। অর্থাৎ গুরুত্বের বিচারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়ের সে লিস্টেড ছাত্র প্রতিনিধি। বাংলাদেশে যে কালচার চলে, তাতে সে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে কোনোভাবে যুক্ত, এই পরিচয়েই কেউ অর্থ উপার্জন করতে পারে বলে মনে করি। এখানে তার মতো ব্যক্তিকে কীভাবে স্বরাষ্ট্র বিভাগের পুলিশ সংস্কার কমিশনের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সুপারিশ করল, এটা সামনে আনা প্রয়োজন। এটা খুব করে চাওয়া আমার।

জানে আলম অপু নামক ছেলেটা আগে থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনেক উচ্চবাচ্য করত, অনেকটা ঔদ্ধত্যের পর্যায়ে। তার বিরুদ্ধে নিজ জেলা জয়পুরহাটে অসংখ্য অভিযোগ ইতিপূর্বে কানে এসেছে, যেহেতু রাজশাহী বিভাগীয় দায়িত্বে আমি ছিলাম। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সেসহ আরও কয়েকজন সেই হত্যাকাণ্ডের কারণ তাদের দাবির সাথে না মেলা সত্ত্বেও তারা আন্দোলন করে এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তরে যাতায়াত বৃদ্ধি করে। এখানে জানে আলম অপু শুধু নয়, ওর আশপাশে থাকা আরও দু–একজনের নামে এমন অভিযোগ আসলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

সর্বশেষ ইব্রাহিম হোসেন মুন্না নামক ছেলেটা এই চাঁদাবাজিতে অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এই নাম আসায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারটির যৌক্তিকতা শতভাগ ফুরিয়ে এসেছে। ইতিপূর্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সে ঢাকা মহানগর কমিটি গোছানোতে ভূমিকা রেখেছে। সবচেয়ে বড় কথা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গত কয়েক দিন আগে হওয়া নির্বাচনে সে টপ অর্গানোগ্রামের একটি পদে ইলেকশন করে এবং পরে তার জায়গায় সে নাকি অন্য কাউকে সিলেক্ট করেছে, এই অজুহাত দিয়ে সে আর দায়িত্ব নেয়নি। এ রকম অদ্ভুতুড়ে ঘটনা ইতিপূর্বে জীবনেও প্রত্যক্ষ করিনি আমি।

ইব্রাহিম হোসেন মুন্নার নামটি একেবারে সেন্ট্রালি কানেক্টেড এবং গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলেম অপুও সেন্ট্রাল নেতা। তাদের সাথে অনেকেরই ভালো খাতির থাকা অস্বাভাবিক নয়। রিমান্ডে নিয়ে প্রকৃত কুশীলবদের বের করে আনাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কেননা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার একটি ঐতিহাসিক ব্যানার। আমি ইতিপূর্বেও জানিয়েছি এই ব্যানার আর থাকার প্রয়োজন নেই, যদিও এই ব্যানার প্রতিষ্ঠা করতে আমারও ভূমিকা ছিল।

ইএইচ

Link copied!