ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫
Amar Sangbad
পবিত্র হজ আজ 

লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখর আরাফাতের ময়দান

আমার সংবাদ ধর্ম ডেস্ক

জুলাই ৮, ২০২২, ১১:১১ এএম

লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখর আরাফাতের ময়দান

আজ পবিত্র আরাফাত দিবস। আজ পবিত্র হজ। এদিন প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে বিশ্বের ১০ লাখ হজযাত্রী সমবেত হচ্ছেন ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে। কণ্ঠে তাদের সমস্বরে উচ্চারণ হচ্ছে- ‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্‌দা ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়ালমুক’। অর্থাৎ- ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার।’ এই উচ্চারণে সাদা এক টুকরো কাপড়ে শরীর ঢেকে তারা ফজরের নামাজের পর থেকেই রওনা দিয়েছেন পবিত্র আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশ্যে। এই সেই আরাফাতের ময়দান, যেখানে দাঁড়িয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) তার বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই স্মৃতি বুকে ধারণ করে মুসলিমরা সমবেত হচ্ছেন এই মরুর প্রান্তরে। গতকাল বৃহস্পতিবার মক্কায় তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই প্রখর রোদে হজযাত্রীরা অবস্থান করেন মিনায়। সেখানে রোদ আর গরমের তীব্রতাকে উপেক্ষা করে ইবাদত বন্দেগিতে দিন ও রাত পার করেছেন।

অন্যান্য বছর ৯ জিলহজের দিনটিতে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হতেন আনুমানিক ২৫ লাখ হাজি। তবে করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর সীমিত পরিসরে হজ হয়েছে। গতবার ৬০ হাজার মানুষ হজ পালন করেছেন। এবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় ১০ লাখ হাজির পদচারণায় মুখর হয়েছে আরাফাতের ময়দান।

মিনায় মুসল্লিদের জড়ো হওয়ার মধ্য দিয়ে পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ৮ জিলহজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও বুধবার রাতেই হাজিরা মিনার তাঁবুতে পৌঁছে যান।

হজযাত্রীর সংখ্যা বিবেচনায় সৌদি মুয়াল্লিমরা আগের রাত থেকেই হজযাত্রীদের তাঁবুর শহর মিনায় নেওয়া শুরু করেন। হজযাত্রীরা বুধবার এশার পর থেকে মক্কার নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরাম বেঁধে মিনায় রওয়ানা হন।

বৃহস্পতিবার সারাদিন মিনার তাঁবুতে অবস্থান করেছেন হাজিরা। তাঁবুর এই শহর মুখরিত হয়ে উঠেছিল ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে। সারা দিন ও রাত তারা মিনায় কাটান ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে। আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় মশগুল ছিলেন জিকির ও তালবিয়াতে।

নামাজ আদায় করেন জামাতের সঙ্গে। সৃষ্টিকর্তার কাছে হাজিরা দিয়ে আত্মশুদ্ধি, মাগফিরাত ও রহমত চাইতে আসা এই মুসলমানরা আজ জড়ো হন আরাফাতের ময়দানে।

আরাফাত ময়দানের তিন দিক পাহাড়বেষ্টিত। মাঝে দুই মাইল দৈর্ঘ্য ও দুই মাইল প্রস্থের এই সমতল ভূমি। জাবাল মানে পাহাড়। জাবালে রহমত হলো রহমতের পাহাড়। হজরত মুহাম্মদ (সা.) জাবালে রহমত পাহাড়ের কাছে দাঁড়িয়ে বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। একে কেউ কেউ দোয়ার পাহাড়ও বলে থাকে। বলা হয়ে থাকে, এই পাহাড়ে হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়ার (আ.) দেখা হয়েছিল।

হজের তিনটি ফরজের মধ্যে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত না হলে হজ হবে না।

আরাফাতের ময়দানে খুতবার পর জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা। এ ছাড়া আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকবেন হাজিরা। সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতে অবস্থানের পর হাজিরা মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। রাতে সেখানে অবস্থান করবেন খোলা মাঠে। মিনার জামারায় শয়তানকে প্রতীকী পাথর মারবেন।

মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা মিনায় ফিরবেন। মিনায় বড় শয়তানকে সাতটি পাথর মারার পর পশু কোরবানি দিয়ে মাথার চুল ছেঁটে (ন্যাড়া করে) গোসল করবেন। সেলাইবিহীন দুই টুকরা কাপড় বদল করবেন। এরপর স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন।

কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় ‘সাঈ’ (সাতবার দৌড়ানো) করবেন। সেখান থেকে তাঁরা আবার মিনায় যাবেন। মিনায় যত দিন থাকবেন, তত দিন তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। আবার মক্কায় বিদায়ি তাওয়াফ করার পর নিজ নিজ দেশে ফিরবেন।


ইএফ

Link copied!