ধর্ম ডেস্ক
জুন ১, ২০২৫, ০৪:২৭ পিএম
ধর্ম ডেস্ক
জুন ১, ২০২৫, ০৪:২৭ পিএম
পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে সামর্থ্যবান মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন।
তবে অনেক সময় দেখা যায়, কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা পশুর শিং ভেঙে গেছে বা ভাঙা অবস্থায় কেনা হয়েছে। তখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে—শিং ভাঙা পশু কোরবানি করা যাবে কি না?
এই বিষয়ে ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই পরিষ্কার। বিশেষজ্ঞ আলেমদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, যদি পশুর শিং জন্মগতভাবে না থাকে অথবা ভেঙে গেলেও তাতে পশুটি কোনো কষ্টে না থাকে কিংবা চলাফেরায় ব্যাঘাত না ঘটে, তাহলে সেই পশু কোরবানি করা জায়েজ।
হাদিস শরিফে উল্লেখ রয়েছে, কোরবানির পশু যেন সুস্থ ও দাগহীন হয়। তবে হালকা কোনো ত্রুটি, যেমন—এক চোখে অন্ধ হওয়া, লেজ বা শিং ভেঙে যাওয়া—যদি অতিরিক্ত কষ্ট বা অক্ষমতার কারণ না হয়, তাহলে তা কোরবানির অযোগ্যতার মধ্যে পড়ে না।
ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস মুফতি আবদুল কাইয়ূম বলেন, “শিং ভেঙে যাওয়া পশু কোরবানি করা যাবে—যদি শিং ভাঙার ফলে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায় এবং পশুটি স্বাভাবিকভাবে খেতে-চলতে পারে। তবে শরীরের বড় ধরণের বিকলাঙ্গতা বা রোগ থাকলে তা কোরবানির বাধা হতে পারে।”
এছাড়াও ইসলামিক ফিকাহ বোর্ডগুলোর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, শরিয়ত যেসব ত্রুটিকে কোরবানির অযোগ্যতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে, সেগুলোর মধ্যে শিং ভাঙা স্পষ্টভাবে নেই। তবে অতিরিক্তভাবে খেয়াল রাখতে হবে—পশুটি যেন রোগাক্রান্ত, হাড়জিরজিরে বা চলাফেরায় অক্ষম না হয়।
সংক্ষেপে বলা যায়— জন্মগতভাবে শিং না থাকলে কোরবানি করা যাবে। ভাঙা শিং থাকলেও যদি তা পশুর জন্য কষ্টদায়ক না হয়, কোরবানি বৈধ। কিন্তু অতিরিক্ত দুর্বল বা অসুস্থ পশু কোরবানির অযোগ্য।
তাই কোরবানি করার আগে পশুর সামগ্রিক অবস্থা বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।
ইএইচ