ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

কে এই গনিম-আল-মুফতাহ্!

সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া

নভেম্বর ২১, ২০২২, ০১:০২ পিএম

কে এই গনিম-আল-মুফতাহ্!

গনিম-আল-মুখতাহ্। কাতারের প্রতিষ্ঠিত এবং বিখ্যাত ব্যক্তিদের একজন। জন্ম থেকেই পা নেই গনিমের। কডাল রিগ্রেশন সিন্ড্রোমে আক্রান্ত তিনি। কিন্তু সেসব প্রতিকূলতাকে পাশ কাটিয়ে গনিম কাতারের জনপ্রিয় ইউটিউবার, একজন জনপ্রিয় মোটিভেশনাল স্পিকার ও মানবসেবী।

গনিম-আল-মুখতাহ্ প্রথমবার বিশ্ববাসীর সামনে হাজির হন ২০১৮ সালে, ১৬ বছর বয়সে। কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত টেডএক্সের অনুপ্রেরণামূলক অনুষ্ঠানে তিনি তার কডাল রিগ্রেশন সিনড্রোম নিয়ে কথা বলেন। যে রোগে আক্রান্ত হলে মানুষের শরীরের নিচের অংশ বৃদ্ধি পায় না।

দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের ২২তম আসরের যাত্রা শুরু হয়েছে গনিম-আল-মুখতাহ্’র হাত ধরেই। দোহার আল বায়েত স্টেডিয়ামে উপস্থিত ৬০ হাজার দর্শক সহ উপভোগ করেন বিশ্বের প্রায় দেশের মানুষ। কোরআন তেলাওয়াতের ছাড়াও ঘানিম এবারের বিশ্বকাপে ফিফার শুভেচ্ছাদূত মনোনীত হন।ফুটবল ঘানিমের পছন্দের খেলা। স্কুলজীবন থেকেই হাতে ভর দিয়ে বিশেষভাবে ফুটবল খেলে আসছেন তিনি। তার ইচ্ছে প্যারালিম্পিয়ানে খেলা। সে লক্ষ্য নিয়ে তিনি ফুটবল খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।

"গনিম-আল-মুফতাহ্  জন্মের আগেই দুটো পা হারিয়ে ফেলেন। ঠিক সেটাও নয় আসলে মায়ের পেট থেকে পৃথিবীতে আসেন অর্ধেক শরীর নিয়ে। "কোডাল রিগ্রেশন সিনড্রোম" রোগে আক্রান্ত গনিমের শরীরের নিম্নাংশ না থাকা সত্বেও তিনি গোটা কাতার তথা আরব দুনিয়ার একজন রোল মডেল। আরবের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর ভক্ত ও সমর্থকবৃন্দ।

গনিম যখন মাতৃগর্ভে তখনই আলট্রা-সাউন্ড মেশিনে ধরা পড়ে তাঁর শরীরের অবিকশিত অংশ। ডাক্তার গর্ভপাতের পরামর্শ দেন। কিন্তু  গনিমের মা-বাবা এই পরামর্শ গ্রহণ করেননি। কারণ ইসলামের বিধান অনুযায়ী গর্ভপাত হলো চূড়ান্ত অপরাধ। মাতা "ইমান-উল-আবদেলি" এবং পিতা "মুহাম্মদ-আল-মুফতাহ্" এটাকে মহান আল্লাহর সিন্ধান্ত হিসেবে মেনে নিয়ে বিকলাঙ্গ সন্তানের জন্ম দিলেন। মাতা পিতার উদ্দেশ্যে বলেন - "আমি হবো সন্তানের বাম পা, আর তুমি হবে তার ডান পা। আমরা দুইজনে সন্তানকে কখনো নিম্নাংশের অভাব টের পেতে দেবো না।"

৫ মে ২০০২ সালে পৃথিবীর আলো দেখেন গনিম। শিশুকাল থেকেই পদে পদে সামাজিক বঞ্চনার শিকার হয়ে পড়েন তিনি। স্কুল, খেলার মাঠ সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে অপমানিত করা হতো। তিনি এসবের তোয়াক্কা না করেই এগিয়ে যেতেন নিজ পথে; একেবারে নিজস্ব ছন্দে।

বন্ধুদের বোঝাতেন - তাঁর অসম্পূর্ণ শরীরের জন্য তিনি মোটেও দায়ী নন। আল্লাহ তাঁকে যে পরিমাণ অঙ্গ-প্রতঙ্গ প্রদান করে পাঠিয়েছেন এর জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। বর্তমানে মোটিভেশনাল স্পীকার হিসেবে তিনি আরব বিশ্বে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।

এই অর্ধেক শরীরি মানুষটাই আজ বিশ্ব দরবারে নিজের পরিচিতি তুলে ধরলেন। তিনি প্রমাণ করে দিলেন যে, শারিরীক প্রতিবন্ধকতা সাফল্যের পথে কোনো অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে না। প্রবল ইচ্ছা শক্তি আর পারপার্শ্বিক সহযোগিতাই মানুষকে অদম্য করে তোলে।  

গনিম তার পরিবারের সাহায্যে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গঠন করেছেন। তার মতো যারা পায়ে চলাচল করতে পারেন না, সংস্থাটি থেকে তাদেরকে হুইলচেয়ার উপহার দেয়া হয়। মানবদরদি কাজের জন্য তিনি সারা পৃথিবীতেই পরিচিত। ২০১৪ সালে কুয়েতের আমি শেখ শাবাহ আল আহমদে আল শাবাহ তাকে ‘শান্তির দূত’ নামে অভিহিত করেন।

ইংল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী গনিম জানান, ফিফা বিশ্বকাপের একজন শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আমি আশার, শান্তির এবং মানুষের মধ্যে ঐক্যের বার্তা পাঠাতে চাই।

এআই

Link copied!