ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
বিপিএল ২০২৩ 

ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচেই চট্টগ্রামের হোঁচট

মো. মাসুম বিল্লাহ

জানুয়ারি ১৩, ২০২৩, ০৫:৪০ পিএম

ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচেই চট্টগ্রামের হোঁচট

বিপিএলের নবম আসরে ঢাকা পর্বের প্রথম অংশের খেলা শেষ। চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচেই ঘরের মাঠে হোঁচট খেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতে একটু লড়াই করলেও ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় শুভাগত হোমের দল। শেষদিকে জিয়াউর রহমান ও আফিফ হোসেন কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও ম্যাচ জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুক্রবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ২৬ রানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। এই জয়ে তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বরিশাল। সমান ম্যাচ খেলে দুই পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে চট্টগ্রাম। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২০২ রান করে বরিশাল।

জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৬ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিক দলটি। লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো করলেও মাঝে রানের গতি বাড়াতে পারেনি চট্টগ্রাম। তাতেই মূলত পিছিয়ে যায় দলটি। এক পর্যায়ে শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭২ রানের। ১৮তম ওভারের শুরুতেই আউট হয়ে যান আফিফ হোসেন। সে ওভারের শেষ তিন বলে টানা তিনটি বাউন্ডারি মারেন জিয়া। পরের ওভারের শেষ তিন বলেও মারেন তিনটি বাউন্ডারি। তাতে শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৬ রানের।

কিন্তু সে ওভারে ৯ রানের বেশি আসেনি। তবে আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক উসমান খানকে নিয়ে শুরুটা ভালোই করেছিলেন ম্যাক্স ও’ডয়েড। ৪৮ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। আগের দিনের মতোই ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু করেছিলেন উসমান। ৩টি করে চার ও ছক্কায় ১৯ বলে ৩৬ রান করে করে কভার পয়েন্টে সানজামুল ইসলামের দারুণ ক্যাচের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন পাকিস্তানি এই ব্যাটার।

এরপর আরেক ওপেনার ও’ডয়েডকে নিয়ে দলের হাল ধরেন উন্মুখ চাঁদ। এ দুই ব্যাটার দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৩৩ রান। ও’ডয়েডকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন সাকিব। আর উন্মুখকে বোল্ড করে দেন করিম জানাত। এরপর আফিফ হোসেনের সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়েন জিয়া। আর পঞ্চম উইকেটে শুভাগত হোমের সঙ্গে গড়েন ৩৬ রানের জুটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন জিয়া। ২৫ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি।

এছাড়া ও’ডয়েড ২৯ ও আফিফ ২৮ রান করেন। এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বরিশাল। চতুরঙ্গ ডি সিলভার জায়গায় এদিন ওপেনিংয়ে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি গড়ে এ অলরাউন্ডার আউট হন তাইজুল ইসলামের বলে। তিনে নেমে প্রথম দুই বলেই বাউন্ডারি মেরে শুরু করেছিলেন সাকিব। তবে তৃতীয় বলে মৃত্যুঞ্জয়ের বলে বোল্ড হয়ে যান অধিনায়ক।

এরপর খুব বেশি টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার বিজয়। লং অনে ক্যাচ দিয়ে আসার আগে খেলেন ৩০ রানের ইনিংস। এরপর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ইব্রাহীম জাদরান। চতুর্থ উইকেটে ৪৯ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন জিয়াউর রহমান। আর ইব্রাহীমকে ফেরান আবু জায়েদ রাহী।

তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ইফতেখার আহমেদ। অষ্টম উইকেটে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে নিয়ে গড়েন ৩৪ রানের জুটি। যেখানে রাব্বির অবদান মাত্র ২ রান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ইফতেখার। ২৬ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান পাকিস্তানি এই ব্যাটার। ৩৩ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন ইব্রাহীম। এছাড়া মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ২ রান। চট্টগ্রামের পক্ষে ৪৯ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন রাহী।

টিএইচ

Link copied!