Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

শেষ মূহুর্তের গোলে রাসেলকে হারায় কিংস

দুই ব্রাজিলিয়ানের গোলে তৃতীয় বসুন্ধরা

সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া

মে ২৩, ২০২৩, ০৬:৪৪ পিএম


দুই ব্রাজিলিয়ানের গোলে তৃতীয় বসুন্ধরা

গত কয়েক মৌসুম বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলে রীতিমতো দাপট দেখিয়ে যাচ্ছে বসুন্ধরা কিংস। ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনাল বসুন্ধরা ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র আগেই বিদায় নিয়েছিল। গতকাল ছিল তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। সেখানে আগে গোল করেও ম্যাচ জিততে পারেনি শেখ রাসেল। দুই ব্রাজিলিয়ানের নৈপুণ্যে বসুন্ধরা কিংস ২-১ গোলে তাদেরকে হারিয়ে তৃতীয় হয়েছে। ইনজুরি টাইমের ৫ মিনিটে দুই গোল করে জয় নিশ্চিত করেছে অস্কার ব্রুজনের দল। 
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় শেখ রাসেল। তবে শেষ দিকে ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়ে দেন দুই ব্রাজিলিয়ান। ম্যাচের চার মিনিটে ফ্রি-কিক পায় বসুন্ধরা কিংস। ফ্রি কিক নেন মিগেল দামাসেনা। বলে তপু হেড করলেও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। ম্যাচের ছয় মিনিটে পেনাল্টি পায় শেখ রাসেল। বক্সের ভেতর চার্লস দিদিয়েরকে ফাউল করে বসেন তপু বর্মন। ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি দিদিয়ের। পরের মিনিটেই গোলের সুযোগ মিস করে বসুন্ধরা। মিগেল দামাসেনার ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারেননি সুমন রেজা। 

 

২৬ মিনিটে ইয়াসিন আরাফাতের ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে যান মিগেল দামাসেনা। তবে সেখান থেকে বল ক্লিয়ার করে দেন শওকত আলী রাসেল। চার মিনিট পরেই মোরসালিনকে গোলবঞ্চিত করেন এই ডিফেন্ডার। সুমন রেজার পাস থেকে বল পান মোরসালিন। তবে শট নেয়ার আগেই তাকে রুখে দেন শওকত। ৩১ মিনিটে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন শেখ রাসেলের কেনেথ ইকেচুকু। বাম প্রান্ত থেকে একাই বল টেনে নিয়ে যান তিনি। ডি-বক্সের ভেতর ঢুকে দূরের পোস্টে শট নেন, তবে লক্ষ্যে রাখতে না পারায় ব্যবধান বাড়েনি। প্রথমার্ধে শেখ রাসেলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার খুব একটা পরীক্ষা নিতে পারেননি কিংসের ফুটবলাররা। ৩৬ মিনিটে দ্বিতীয়বারের মতো লক্ষ্যে বল রাখতে পেরেছিল কিংস। ফ্রি-কিক থেকে গোলে শট নিয়েছিলেন মিগেল দামাসেনা। তবে বল সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে জমা হয়। ১-০  গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় শেখ রাসেল।


দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতো শেখ রাসেল। ৪৬ মিনিটে দারুণ এক গোলের সুযোগ তৈরি করেন দীপক রায়। ইয়াসিনকে বোকা বানিয়ে ক্রস দেন ফাঁকায় থাকা সুজনকে। তবে তার শট ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ৫৮তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি কিংস। ডি-বক্সের ভেতর দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ক্রস দিয়ছিলেন সুমন রেজা। সামনেই ছিলেন ইয়াসিন আরাফাত এবং সবুজ। শুধু পা ছুঁয়ে দিলেই এগিয়ে যেতে পারতো কিংস।
প্রথমার্ধে রবসন, দোরিয়েলতন, রেজা খানজাদেদের ছাড়াই খেলতে নামে বসুন্ধরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তাদের মাঠে নামান কোচ অস্কার ব্রুজোন। বিদেশিদের মাঠে নামানোর পর রাসেলের ওপর চাপ বাড়ায় তারা। তবে গোলের চেষ্টায় ছিল রাসেলও। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে আনিসুর রহমান জিকোকে একা পেয়েও গোলের সুুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি কেনেথ ইকেচুকু। ৮৫ মিনিটে কোচের আস্থার প্রতিদান দেন রবসন রবিনহো। ডি-বক্সে তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দূরের পোস্টে শট নেন এই ব্রাজিলিয়ান। 

তবে খালেকুজ্জামানের গায়ে লেগে বল জালে জড়ায়। পাঁচ মিনিট পরেই ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেন দামাসেনা। দোরিয়েলতনের পাস থেকে ডি-বক্সের বাইরে থেকে আচমকা শটে বল জালে জড়ান দামাসেনা। কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি শেখ রাসেলের গোলরক্ষক। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা কিংস।
 

Link copied!