ক্রীড়া প্রতিবেদক
জুলাই ১৬, ২০২৫, ১১:৫১ পিএম
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হারার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও শুরু হয়েছিল হারে। শ্রীলঙ্কা সফরটা খালি হাতেই শেষ হবে—এমন শঙ্কা যখন ঘিরে ধরেছিল, তখনই টানা দুই জয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।
বুধবার (১৬ জুলাই) সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশের হাত থেকে বাঁচিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় টাইগাররা। একই সঙ্গে শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ।
কলম্বোর প্রেমাদাসা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। তবে শুরু থেকেই ব্যাট হাতে বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা।
প্রথম ধাক্কাটা দেন টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম। ম্যাচের প্রথম ওভারেই তিনি কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে দেন। এরপর লঙ্কান ব্যাটারদের সামনে রীতিমতো দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দেন সিরিজে প্রথমবার সুযোগ পাওয়া স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান। তিনি ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ১১ রান খরচায় ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন।
শ্রীলঙ্কার হয়ে একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইনিংস আসে ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার ব্যাট থেকে, ৩৯ বলে করেন ৪৬ রান। শেষদিকে দাসুন শানাকা ২৫ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ইনিংসের শেষ ওভারে শরিফুলকে দুটি ছক্কা ও দুটি চার হাঁকিয়ে লড়াইয়ের মতো সংগ্রহ দাঁড় করান লঙ্কানরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা সংগ্রহ করে ১৩২ রান।
রান তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা ছিল হতাশাজনক। ইনিংসের প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন। তবে এরপর দলের হাল ধরেন লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। ২৬ বলে ৩২ রান করে লিটন ফিরে গেলেও, তার ইনিংসে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায়।
এরপর তৌহিদ হৃদয় ক্রিজে এসে তানজিদ তামিমকে সঙ্গ দেন। দুজনে মিলে আর কোনো বিপদ হতে দেননি। তানজিদ ৪৭ বলে ৭৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে হৃদয় অপরাজিত থাকেন ২৫ বলে ২৭ রান করে। ১৮.১ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
এই জয়ের মাধ্যমে শুধু সিরিজ জয়ই নয়, বিদেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।
ইএইচ