ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণের প্রায় ২৫ শতাংশই খেলাপি

রেদওয়ানুল হক

ডিসেম্বর ১, ২০২২, ০৩:১৭ এএম

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণের প্রায় ২৫ শতাংশই খেলাপি

ব্যাংকের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) খেলাপি ঋণ। চলতি বছরের ৯ মাসে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণ সোয়া চার হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। ফলে এ খাতে বিতরণকৃত মোট ঋণের প্রায় ২৫ শতাংশই খেলাপি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার ৪১৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩২৭ কোটি ১০ লাখ। যা মোট ঋণের ২৪.৬১ শতাংশ। ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১৩ হাজার ১৬ কোটি টাকা।

অর্থাৎ ৯ মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে   ঋণ চার হাজার ৩১১ কোটি টাকা। খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি সুদে নামে-বেনামে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ দিয়েছে। যার কারণে এসব প্রতিষ্ঠান যথাসময়ে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পাড়ায় খেলাপির পরিমাণ বাড়ছে।

এছাড়া করোনার কারণে গত ২০২০ ও ২০২১ বছরে ঋণ পরিশোধে বড় ধরনের ছাড় ছিল। চলতি বছর থেকে ঋণ পরিশোধের ছাড়ের সুবিধা উঠে যাওয়াও খেলাপি ঋণ বাড়ার অন্যতম কারণ। এদিকে চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট বিতরণ করা ঋণ ছিল ৬৯ হাজার ৩১৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

এরমধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৫ হাজার ৯৩৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা। অন্যদিকে সেপ্টেম্বর শেষে মোট ঋণ বিতরণ হয়েছে ৭০ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে এক হাজার ৩৯০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, নতুন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অনুমোদনের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান জন্মলগ্ন থেকেই দক্ষ জনবল নিয়োগ দেয়নি। অদক্ষ আত্মীয়স্বজন দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয়। এছাড়া ব্যাংকে যেভাবে নজরদারি করা হয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেভাবে নজরদারি করা হচ্ছে না। সঠিক সুপারভিশন হলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের বোঝা কমানো সম্ভব। প্রসঙ্গত, মহামারি করোনা থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বিশ্বব্যাপী মন্দার হুমকির সময়কালে ঢালাও সুযোগ-সুবিধা দেয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে।

গত ৯ মাসে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ মোট ৩১ হাজার ১২২ কোটি টাকা বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ এক লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। জুন শেষে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা।

এরপর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা বা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এর আগে, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১১ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা।

Link copied!