ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

বোর্ড সভায় মুদ্রানীতি অনুমোদন

রেদওয়ানুল হক

জানুয়ারি ১৩, ২০২৩, ০৩:১৫ পিএম

বোর্ড সভায় মুদ্রানীতি অনুমোদন
  • ঘোষণা রোববার 
  • আসছে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি
  • বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে কৃষি খাত, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও তারল্য ব্যবস্থাপনা

ব্যাংক খাতে তারল্য সংকটের চাপ, বিদেশি মুদ্রা সরবরাহে টান, টাকার মান কমে যাওয়া, ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি আর চলতি হিসাবে ঘাটতি বয়ে বেড়ানোর মতো অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে আগামী ছয় মাসের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী রোববার ঘোষণা হবে নতুন এই মুদ্রানীতি। 

কৃষি খাতে ঋণের প্রবাহ বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক মন্দায় দেশের বাজারে টাকার সরবরাহ ঠিক রাখাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অমনকটা সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ৪২৬তম সভায় সম্ভাব্য মুদ্রানীতির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক, পরিচালক, ডেপুটি গভর্নর, প্রধান অর্থনীতিবিদ ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।

জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক আমার সংবাদকে বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) বোর্ড সভায় নতুন মুদ্রানীতির অনুমোদন হয়েছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে গভর্নর মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ডলারের সংকট চলছে। আবার ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করায় প্রচুর টাকা চলে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। কমেছে টাকার সরবরাহ। ফলে তারল্য সংকটে পড়েছে বেশ কিছু ব্যাংক। এ অবস্থায় বাজারে টাকার প্রবাহ স্বাভাবিক রাখা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করাও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ দুটির সমন্বয় করে কিছুটা সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির দিকে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি উৎপাদনশীল খাত, বিশেষ করে কৃষি খাতে ঋণ সরবরাহ বাড়াতে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে নতুন নীতিতে।  

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করেছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। আগের মুদ্রানীতিতে যা ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ ছিল। মূলত সাম্প্রতিক সময়ে ঋণ বৃদ্ধির প্রবণতা বিশ্লেষণ করে মুদ্রানীতিতে প্রাক্কলন কিছুটা কমানো হয়েছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের ৫ম মাস নভেম্বরে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আগের মাস অক্টোবর শেষে যা ছিল ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে এই হার ছিল ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আগস্টে ছিল ১৪ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং জুলাইয়ে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২২) ব্যাংক থেকে সরকারের প্রকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা। অন্যদিকে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে নতুন করে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে ঋণ দিয়েছে ৬৫ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। এ সময়ের মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ শোধ করেছে ৩৩ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা। ফলে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতিকে পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশের রাখার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কিন্তু সবশেষ নভেম্বর শেষে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে আট দশমিক ৮৫ শতাংশ। বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংক ঋণে জোর দিচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি পূরণে ব্যাংক এক লাখ ছয় হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেবে বলে লক্ষ্য ঠিক করছে সরকার। এই অঙ্ক আগের অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৯ হাজার ৮৮২ কোটি টাকার বেশি। গত অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ঠিক করা ছিল।

মূলত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে— এর একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।

সাধারণত সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। কিন্তু  করোনার কারণে গত দুবছর আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া শুধু ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক আগে প্রতি ছয় মাসের আগাম মুদ্রানীতি ঘোষণা করলেও গত দুই অর্থবছর তা এক বছরের জন্য করা হয়। 

তবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের মুদ্রানীতি অনলাইনের পরিবর্তে সরাসরি ঘোষণা করেন বিদায়ী গভর্নর ফজলে কবির। নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেয়ার পর সিদ্ধান্ত হয়, আগের মতো আবারও প্রতি ছয় মাস অন্তর মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। অবশ্য বছরে দুটি মুদ্রানীতি দেয়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত রয়েছে।

Link copied!