ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে কৃষিঋণ

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২৬, ২০২৩, ১২:৩৯ এএম

লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে কৃষিঋণ
  • ছয় মাসে কৃষিঋণ বিতরণ ১৬ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা 
  • ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা

কৃষিঋণ বিতরণে সফলতা দেখিয়েছে ব্যাংকগুলো। চলমান বাণিজ্য ঘাটতির প্রেক্ষাপটে সরকার কৃষিতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। সে অনুযায়ী ব্যাংকগুলোকে কৃষি খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর ছয় মাসে কৃষিঋণ বিতরণ হয়েছে ১৬ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ১০৪ শতাংশ। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কৃষিঋণের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। জুলাই-ডিসেম্বর ছয় মাসে কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১৫ হাজার  ৪৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আর বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ১৬ হাজার ৬৭০ কোটি ১০ লাখ টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ছয় হাজার ৭০২ কোটি টাকা এবং দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৯ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের ২ শতাংশ কৃষিঋণ হিসেবে বিতরণ করে। এর বাইরে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বিতরণ করা ঋণের পুরোটাই কৃষিঋণ হিসেবে বিতরণ করা হয়। এর বাইরে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণী সংস্থার (এনজিও) নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (এমআরএ) নিবন্ধিত এনজিও কৃষিঋণের বড় একটি অংশ বিতরণ করে। যে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের পল্লী অঞ্চলে ঋণ বিতরণে যথেষ্ট অবকঠামো নেই, সে সব ব্যাংক এনজিওর মাধ্যমে বিতরণ করে। এনজিওগুলো বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে থেকে ৮ থেকে ৯ শতাংশ হারে তহবিল নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে ২২ শতাংশ হারে বিতরণ করে। এর বাইরে করোনা মহামারির অভিঘাত মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত প্রণোদনা স্কিম, গাভী পালনে ঋণ, শস্যে ঋণসহ বিভিন্ন রকম কৃষিঋণ স্কিম রয়েছে। শস্য, সেচ, কৃষি যন্ত্রপাতি, লাইভস্টক ও পোল্ট্রি, মৎস্য চাষ, শস্য সংরক্ষণ ও বাজারজাত, পল্লী অঞ্চলে দারিদ্র্য দূরীকরণে ছোট্ট উদ্যোগে এসব ব্যাংক ও এনজিও কৃষিঋণ বিতরণ করে। প্রতি বছর ব্যাংকিং খাতে ঋণ বিতরণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কৃষিঋণ বিতরণ বৃদ্ধি পায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, আট রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, বাংলাদেশে ব্যবসারত আট বিদেশি ব্যাংক, দেশি ৪০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ মোট ৫৬টি ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণ করে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক ও বিডিবিএল লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ব্যাংক আল ফালাহ, সিটি ব্যাংক এনএ, হাবিব ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া লক্ষ্যপূরণ করেছে। 

যেসব বেসরাকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণে লক্ষ্য ছাড়িয়েছে, সেগুলো হলো– বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, শাজালাল ইসলামী ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ইউনায়টেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ও উত্তরা ব্যাংক। ছয় মাসে বিদেশি উরি ব্যাংক কোনো কৃষিঋণ বিতরণ করেনি। ১০ শতাংশের নিচে ঋণ বিতরণকারী ব্যাংকগুলো হলো মধুমতি ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।

Link copied!