Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

জবি-ইবিও গুচ্ছে থাকছে

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে গুচ্ছ

মো. মাসুম বিল্লাহ

মার্চ ২১, ২০২৩, ১২:১৭ পিএম


শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে গুচ্ছ
  • আগামীতে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা ইউজিসির 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা— যারা আগে গুচ্ছে ছিল তাদের এবারও থাকতে হবে
—অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক, জবি উপাচার্য

সম্প্রতি জগন্নাথ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিলে গুচ্ছতে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কথা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় দুটি। এ ব্যাপারে জবি উপাচার্য বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা হলো— যারা আগে গুচ্ছে ছিল তাদের এবারো থাকতে হবে। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কার্যালয়ে এক সভায় ১৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ইউজিসি। এছাড়া ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অভিন্ন ভর্তিপরীক্ষা আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়।

সভা সূত্রে জানা যায়, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দ্রুত ভর্তিপরীক্ষা গ্রহণ ও ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ক্লাস শুরুর নির্দেশনা দিয়েছে ইউজিসি। ভর্তিপরীক্ষা প্রক্রিয়া সহজ ও শিক্ষার্থীবান্ধব করা এবং এবারের গুচ্ছ ভর্তি যেন অনন্য হয় সে বিষয়ে আয়োজকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সভায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির বিদ্যমান সংকট ও সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়। ভর্তিতে বিগত বছরের জটিলতাগুলো কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় এবং ভর্তি কীভাবে আরও সহজ ও শিক্ষার্থীবান্ধব করে তোলা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, গুচ্ছভুক্ত ১৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তিপরীক্ষা আয়োজন করায় দেশবাসী আমাদের উষ্ণ অভিবাদন জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, এটি একটি ভালো পরীক্ষা পদ্ধতি।

নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাই বলে এখান থেকে পিছু হটার বা বের হয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। গুচ্ছ ভর্তিপরীক্ষা ভালো ও সর্বজন স্বীকৃত পদ্ধতি হওয়ায় উপাচার্য ও ভর্তি সংশ্লিষ্টদের তিনি আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান। ইউজিসি চেয়ারম্যান গুচ্ছ ভর্তিপরীক্ষার বিষয়ে সরকারের অভিপ্রায় বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সংবেদনশীল হওয়ার পরামর্শ দেন।

ইউজিসি সদস্য ও গুচ্ছ ভর্তিপরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, গুচ্ছ ভর্তিপরীক্ষায় ৮০ ভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করছে। তিনি জানান, আগামী বছর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ইউনিক পদ্ধতিতে ভর্তিপরীক্ষার আয়োজন করা হবে বলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংশ্লিষ্টদের অল্প সময়ে ভর্তিপরীক্ষা গ্রহণ ও ক্লাস শুরু করার আহ্বান জানান। এছাড়া, ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ করে দেশবাসীকে চমৎকার একটি ভর্তিপরীক্ষা উপহার দেয়ারও আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ইউজিসি মিটিংয়ে গুচ্ছে থাকার নির্দেশনা ছিল। ইউজিসি আমাদের বলেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা হচ্ছে, যারা আগে গুচ্ছে ছিল, এখনো তাদের থাকতে হবে। নেক্সট ইয়ার সব ইউনিভার্সিটি একত্রে একটি পরীক্ষা হবে।

Link copied!