Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

আসনভিত্তিক নয়

জেলাভিত্তিকই রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ হবে

মো. মাসুম বিল্লাহ

মার্চ ৩১, ২০২৩, ১১:৩৭ এএম


জেলাভিত্তিকই রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ হবে
  • সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে মাঠ কর্মকর্তাদের ইসির নির্দেশ

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনে আসনভিত্তিক নয়, জেলাভিত্তিকই রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মাসিক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের বিষয়ে অনেকেই ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন বলে গণমাধ্যমে দেখছি। মিডিয়াতে দুটো বিষয়ে ভিন্ন রকম প্রতিবেদন এসেছে।

তিনি বলেন, আগে আইনে জেলা শব্দটি ছিল, এখন সেখানে আসন শব্দটি যোগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটাকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে এরকম- আমরা যখন জাতীয় সংসদ নির্বাচন করি তখন সেখানে একটা জেলার ক্ষেত্রে একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়, যিনি জেলা প্রশাসক বা অন্য কেউ হতে পারেন। তখন তার জেলার আওতাধীন যতগুলো আসন থাকে, ততগুলো আসনের কার্যক্রম তদারকি করনে। আবার যখন উপ-নির্বাচন করি তখন একটা জেলার চারটা আসনের একটি যদি উপ-নির্বাচন হয়, তখন রিটার্নিং কর্মকর্তা কিন্তু ওই একটি আসনের জন্য নিয়োজিত হন। তার কার্যক্রম ওই একটি আসনভিত্তিক হয়ে থাকে।

সেখানে শুরুতে বলা হয়েছে, যখন যেখানে যিনি দায়িত্বে থাকবেন তখন তার তার কাজের পরিধি ঠিক করে দেয়া। একটা সময় দুটো জেলার দুটি উপজেলা নিয়ে একটি আসন ছিল, তখন সেক্ষেত্রে জেলা শব্দটির সঙ্গে আসন শব্দটি থাকলে ভালো হয়। আবার উপ-নির্বাচনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করি। সেক্ষেত্রে একটি জেলার ছয়টি উপজেলার মধ্যে দুটি উপজেলা নিয়ে নির্বাচন হয়, তখন কিন্তু জেলা শব্দটি প্রযোজ্য হয় না, তখন যেখানে নির্বাচন হচ্ছে সেই আসনটুকু প্রযোজ্য হয়। এজন্য জেলা শব্দটির সঙ্গে আসনটি শব্দটি যোগ করা হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রেই আইনের ধারাটা না পড়েই ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে।

ইসি সচিব বলেন, আরেকটি বিষয় হচ্ছে, যদি কোথাও গুরুতর অনিয়মের কারণে নির্বাচন স্থগিত করতে হয়, নির্বাচন কমিশন করতে পারেন, এটা আগে থেকে বলা আছে। এখন (সংশোধনী প্রস্তাবে) বলা হয়েছে, কোনো একটি ফলাফল তৈরির সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা বিরবরণীটা কমিশনে পাঠাবে, তখন যদি গুরুতর কোনো অনিয়ম হয়, তখন নির্বাচন কমিশন যথাযথ তদন্ত করবে। তদন্তে যদি মনে হয় ফলাফল ঠিক আছে তাহলে তারা প্রকাশ করবে। অন্যথায় ওই গুরুতর অপরাধে ফলাফল সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়নি, তখন তারা বাতিল করতে পারবেন। এখানে গেজেট প্রজ্ঞাপনের পরে বাতিল, কথাটা কিন্তু তা না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, আরপিও সংশোধন নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে। সেখানে ইসির প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। নীতিগত অনুমোদন বলতে যে প্রস্তাবনাগুলো আছে, সেগুলো আইন মন্ত্রণালয় আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখবে। তারপর পরবর্তী সভায় উত্থাপন করবে। কোনো অংশ বাতিল বা কোনোটা রাখা হবে সেটা কিন্তু নীতিগত অনুমোদনের সময় সিদ্ধান্ত দেয়া হয় না।

সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে মাঠ কর্মকর্তাদের ইসির নির্দেশ

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থিত হয়ে এমন নির্দেশনা দেয় পুরো কমিশন। সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন, আজ আমাদের মাসিক সমন্বয় ছিল। ইসির সব কর্মকর্তাদের এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে বসেছিলাম। নির্বাচন কমিশনাররা থাকার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন এবং তারা (প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ পুরো কমিশন) ছিলেন। ইসি সচিব বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন, যেন তাদের ঘোষিত রোডম্যাপ থেকে আমরা পিছিয়ে না পড়ি।

এক্ষেত্রে নির্বাচনের আপ টু বটম, মালামাল ক্রয় থেকে শুরু করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন পর্যন্ত সব বিষয়ের ওপর তারা রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্দেশনা দিয়েছেন যে, কোন কোন বিষয়ে আমরা পিছিয়ে আছি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায় থেকে আমরা জানতে চেয়েছি, ব্যালট বক্সগুলো কোথায় আছে, কীভাবে আছে, সেগুলোকে কীভাবে যাচাই করে তারা আমাদের রিপোর্ট দেবে এসব বিষয়। এগুলো বাস্তবিক অর্থেই ইসির অভ্যন্তরীণ কাজ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে বলেছেন, চলতি বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যেই সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, নতুন দল নিবন্ধন ও আইন সংশোধনের কাজে হাত দিয়েছে ইসি। বড় এ কাজগুলোর প্রতিটিই প্রায় মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য বিষয়গুলো মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই সম্পন্ন করবে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। এছাড়া নির্বাচনি প্রশিক্ষণের বড় কাজটিও ইতোমধ্যে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।

Link copied!