ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি

দুঃসংবাদ দিলো বিশ্বব্যাংক ও এডিবি

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

এপ্রিল ৫, ২০২৩, ০১:০৪ পিএম

দুঃসংবাদ দিলো বিশ্বব্যাংক ও এডিবি
  • চলতি অর্থবছরে সরকারের লক্ষ্যের চেয়ে ১.৩ শতাংশ পিছিয়ে থাকার পূর্বাভাস
  • ২০২৪ সালে ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা, হতে পারে ৬.২ শতাংশ
  • অর্থবছর শেষে গড় মূল্যস্ফীতি ৬.২ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৮.৭ শতাংশে

চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫.২ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেড়ে হবে ৬.২ শতাংশ। সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.৫০ শতাংশ হওয়ার কথা। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিশ্বব্যাংকের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদায়েল সেক।

এ সময় অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনসহ সংস্থাটির ঢাকা অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। একই দিনে জিডিপি নিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি। সংস্থাটি জানিয়েছে, অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৩ শতাংশ। সেই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৮.৭ শতাংশে দাঁড়াবে।

এডিবির ঢাকা অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘এশীয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০২৩’ এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উপস্থাপন করেন সংস্থাটির সিনিয়র ইকোনমিস্ট সন চ্যাং হং। এ সময় এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর জানান, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রভাব বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতে পড়েছে।

তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। সামষ্টিক অর্থনীতি বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ, রাজস্ব ঘাটতি এই চ্যালেঞ্জের অন্যতম কারণ। তিনি বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা বিশ্বের দেশগুলোকে প্রভাবিত করেছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সংস্কারে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশে পণ্যের উচ্চমূল্য মূল্যস্ফীতির চাপে অবদান রেখেছে।

ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ঘাটতি চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ৭.২ বিলিয়নে পৌঁছেছে। যা ২০২২ সালে ছিল ৫.৩ বিলিয়ন। যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ তৈরি করেছে। বিশ্বব্যাংক জানায়, অভ্যন্তরীণ থেকে উচ্চতর অর্থায়নের ফলে আর্থিক ঘাটতি ২০২৩ সালে বিস্তৃত হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশকে নিয়ে মূল্যায়ন করেছে। সেখানে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ বাংলাদেশকে ঋণ সংকটের কম ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানায়। বিশেষ করে রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য বাণিজ্য প্রতিযোগিতার উন্নতি বাংলাদেশের অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে বলেও উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড হ্যাভেন বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের প্রায় ৮৩ শতাংশ যোগান হচ্ছে। ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনে এ দেশের রপ্তানিতে বৈচিত্র আনার পাশাপাশি প্রতিযোগিতার উন্নতি করতে হবে। পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এডিবি জানায়, বৈশ্বিক সংকটে ৫.৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক। কারণ রপ্তানি গ্রোথ দিন দিন কমে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটও বড় সমস্যায় ফেলেছে। প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির হার ধীরগতির অন্যতম কারণ ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ।

এর ফলে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ চাহিদার মধ্যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মূল্যস্ফীতির চাপ গত বছর ছিল মাত্র ৬.২ শতাংশ, সেখান থেকে ২০২৩ সালে হঠাৎ করেই বেড়ে ৮.৭ শতাংশ হবে। দীর্ঘায়িত রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে। এডিমন গিনটিং বলেন, সরকার অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক প্রতিকূলতার প্রভাবেও তুলনামূলকভাবে ভালো করছে। পাশাপাশি সব খাতেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। এই কঠিন সময়েও উচ্চতর প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। এই সংস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহকে শক্তিশালী করা, আর্থিক খাতকে গভীর করা এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রতিযোগিতা বাড়ানো জরুরি।

তিনি আরও বলেন, দেশের জলবায়ু এজেন্ডার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে দেশীয় নবায়নযোগ্য শক্তি সরবরাহের দ্রুত সমপ্রসারণ করতে হবে। এই জন্য একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এডিবি জানায়, বেসরকারি বিনিয়োগ কম হবে কারণ জ্বালানি ঘাটতি রয়েছে। পাশাপাশি বর্তমানে নানা কারণে উৎপাদন খরচও বেশি। রাজস্ব সংগ্রহে ঘাটতি, কঠোরতা ব্যবস্থা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া এবং পাবলিক বিনিয়োগ বৃদ্ধিও ধীর হবে। জ্বালানি তেলের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী, গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

Link copied!