ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

মার্কিন ডাকে বড় তিন দল

আবদুর রহিম

মে ২৬, ২০২৩, ০৮:১১ এএম

মার্কিন ডাকে বড় তিন দল
  • আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাপার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দুই ঘণ্টা বৈঠক
  • যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি টক অব দ্য কান্ট্রি

২০১৩ ও ২০১৪ সালে পেট্রোলবোমা মেরে যারা মানুষ হত্যা করেছে বৈঠকে বলেছি

—ড. সেলিম

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ক্ষমতাসীনদের ভোট কারচুপির বিরুদ্ধে ‘সিগন্যাল’

—আমীর খসরু

নির্বাচন নিয়ে আন-অফিসিয়াল কথাবার্তা হয়েছে; ভিসানীতিকে স্বাগত

—মুজিবুল হক চুন্নু

আমরা সুষ্ঠু  নির্বাচন করতে চাই, যুক্তরাষ্ট্র এটিকেই সমর্থন দিয়েছে

—আব্দুল মোমেন

টক অব দ্য কান্ট্রি। বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি। ভোটে অনিয়মের সাথে জড়িত কোনো বাংলাদেশিকে ভিসা দেবে না দেশটি। এমন ঘোষণার পর গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বড় তিনটি রাজনৈতিক দল— আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেন। তিন দলের নেতারা প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে তাদের যুক্তি উপস্থাপন করেন। বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন দলের তথ্য ও গবেষণা-বিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ ও কেন্দ্রীয় নেতা মো. এ আরাফাত। বিএনপির পক্ষে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক-বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ। আর জাতীয় পার্টির পক্ষে ছিলেন মহাসচিব মুজিবুল হক (চুন্নু) ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল।

 বৈঠক শেষে বেরিয়ে আওয়ামী লীগের গবেষণা-বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ জানান, যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসলে জিনিসটি কী, পদ্ধতিটি কী হবে— এসব বিষয় নিয়ে আমাদের ব্রিফ করা হয়েছে। কাউকে টার্গেট করে এটি করা হয়নি। যারা সহিংসতা করবে, নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চেষ্টা করবে তাদের জন্যই এটি প্রযোজ্য হবে। এ ছাড়া ২০১৩ ও ২০১৪ সালে যারা পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে বৈঠকে আমরা সেটিও বলেছি। জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আন-অফিসিয়াল কিছু কথাবার্তা হয়েছে। তবে, বৈঠকের মূল বিষয় ছিল— বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার নতুন ভিসানীতি। ‘বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন ভিসানীতির উদ্দেশ্য বোঝা গেছে, তারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসানীতিকে স্বাগত জানিয়েছি। এই নীতি ক্ষমতাসীনদের ভোট কারচুপির বিরুদ্ধে বড় ধরনের ‘সিগন্যাল’। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে এটি একটি বড় পদক্ষেপ। বৈঠক শেষে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস তাদের ফেসবুক পেজে পিটার হাসের বার্তা প্রচার করে। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন ব্যক্তিদের ভিসা সীমিত করার এই নতুন ভিসানীতি সবার জন্য প্রযোজ্য।’ এ ছাড়া বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস জানান, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি বাংলাদেশের নির্বাচন-প্রক্রিয়ার প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থনের অংশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছে, আমরা সুষ্ঠু  নির্বাচন করতে চাই, যুক্তরাষ্ট্র এটিকেই সমর্থন দিয়েছে।

২০১৩ ও ২০১৪ সালে তারা পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে বৈঠকে বলেছি : ড. সেলিম মাহমুদ : আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা-বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসাসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত একক কোনো দলের জন্য প্রযোজ্য নয়। এটি সরকারি দল ও বিরোধী দলসহ বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের জন্যই প্রযোজ্য। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন দূতাবাসে আওয়ামী লীগ; বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বৈঠক শেষে সেলিম মাহমুদ গণমাধ্যমকে এ কথা জানান। সেলিম মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসলে জিনিসটি কী, পদ্ধতিটি কী হবে এসব বিষয় নিয়ে আমাদের  ব্রিফ করা হয়েছে। কাউকে টার্গেট নিয়ে এটি করা হয়নি। যারা সহিংসতা করবে, নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চেষ্টা করবে তাদের জন্যই এটি প্রযোজ্য হবে। আওয়ামী লীগের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে সেলিম মাহমুদ বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার, নির্বাচন কমিশন সংস্কারসহ গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে বিশেষ অবদান রয়েছে এই বিষয়গুলো আমরা তুলে ধরেছি। সেলিম মাহমুদ বলেন, নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে পেট্রোলবোমা হামলা চালানো হয়েছিল, মানুষ হত্যা করা হয়েছিল এসব কথাও আমরা বৈঠকে বলেছি। 

নির্বাচন নিয়ে আন-অফিসিয়াল কথাবার্তা হয়েছে ভিসানীতিকে স্বাগত : মুজিবুল হক চুন্নু : যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি নিয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এই ভিসানীতি করেছে। এটিকে জাতীয় পার্টি স্বাগত জানায়। গতকাল রাজধানীর গুলশানে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠক প্রসঙ্গে জাপা মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, আমেরিকান ফরেন মিনিস্টার ভিসা-বিষয়ক নতুন যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেটি জানানোর জন্য এ বৈঠক ডাকা হয়। বাংলাদেশের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন যে ভিসানীতি, এটি আমাদের রাষ্ট্রদূত আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন। আমাদের মতামত কী, সেটিও জানতে চেয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, প্রতিক্রিয়ায় আমি বলেছি, এই ভিসানীতি ঠিক আছে। এটি আমেরিকা সরকারের নিজস্ব বিষয়। তারা কী পলিসি করবে, সেটি তাদের বিষয়। এ বিষয়ে আমাদের কোনোরকম আপত্তি বা অবজেকশন নেই। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য ভালো। তারা এটি করেছে যেন বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়। এটিকে আমরা অ্যাপ্রিশিয়েট করি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাপা মহাসচিব বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আন-অফিসিয়াল কিছু কথাবার্তা হয়েছে। তবে, বৈঠকের মূল বিষয় ছিল— বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার নতুন ভিসানীতি। চলমান গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাপা মহাসচিব বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা এজেন্টদের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। মোটামুটি কোনো গোলমাল নেই। তবে মেশিনে (ইভিএম) কিছু করা হয় কি-না, তা নিয়েই এখন প্রশ্ন। এ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের পলিটিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কাউন্সিলর স্কট ব্র্যান্ডন, পলিটিক্যাল অফিসার ম্যাথিউ বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ক্ষমতাসীনদের ভোট কারচুপির বিরুদ্ধে ‘সিগন্যাল’ —আমীর খসরু : আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসানীতিকে স্বাগত জানিয়েছেন আমীর খসরু মাহুমদ চৌধুরী। এই নীতি ক্ষমতাসীনদের ভোট কারচুপির বিরুদ্ধে বড় ধরনের ‘সিগন্যাল’ বলে মনে করেন তিনি। গতকাল দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্র-বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক এরকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ভোট রিগিং হচ্ছে, ভোটের দিন ছাড়াও প্রতিদিন ভোট রিগিং হয় বাংলাদেশে। এটি বন্ধ করার জন্য আমরা স্বাগত জানাই তাদের এ পদক্ষেপকে। এখানে যাদের কথা বলেছে, একেবারে সরাসরি যাদের কথা বলেছে এবং তাদেরকে যে ম্যানশন করেছে— এটি একটি বড় পদক্ষেপ। এটি তাদের জন্য বড় ম্যাসেজ। এই ম্যাসেজ না নিয়ে আবারো যদি বাংলাদেশের ভোটচুরির প্রক্রিয়ায় তারা যদি অ্যাবহতভাবে কাজ করতে থাকে তাহলে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে তাদের চিন্তা করা দরকার। কেন স্বাগত জানাচ্ছেন তার কারণ ব্যাখ্যা করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত এসেছে। আমরা এটিকে (যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি) ওয়েলকাম করছি এই কারণে যে, এটি হচ্ছে বাংলাদেশের এই মুহূর্তে মানুষের যে শঙ্কা নির্বাচনকে নিয়ে, অন্তত এ ধরনের একটি পদক্ষেপ আমি মনে করি আগামী দিনে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এর মাধ্যমে যে সব কিছু হবে তা না কিন্তু এটি একটি সিগন্যাল, একটি ম্যাসেজ যে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারছে না, বাংলাদেশের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে, জীবনের নিরাপত্তার শঙ্কার মধ্যে আছে। প্রতিনিয়ত এই যাদের কথা (ভিসানীতিতে) উল্লেখ করেছে এই লোকগুলো, এই সংস্থাগুলো বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার প্রক্রিয়ার সাথে এরা জড়িত এবং যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

তিনি বলেন, ‘এই স্টেটমেন্টটা কিন্তু কান্ট্রি স্পেসিফিক-বাংলাদেশ। এটি বাংলাদেশের সংগঠনগুলোকে স্পেসিফিক বলেছে, এটি বাংলাদেশের ব্যক্তিগুলোকে স্পেসিফিক বলেছে। এটি একেবারে কমিপ্রহেনসিভলি যারা নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য, নির্বাচনকে দখল করার জন্য, ভোট চুরির মাধ্যমে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য যত ধরনের সংগঠন-ব্যক্তি এবং দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বলেছে— সরাসরি তারা অ্যাড্রেস করেছে। এর মধ্যে তারা বিচার বিভাগের কথা বলেছে, সাংবাদিকদের কথা বলেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথা বলেছে, সরকারি কর্মকর্তাদের কথা বলেছে— যারাই ভোট চুরির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকবে সবার প্রতি এটি যুক্তরাষ্ট্র অ্যাপ্লাই করবে।’ এই সময়ে বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু ও মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন। এর আগে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গুলশানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বাসায় একটি বৈঠকে যোগ দেন। সেখানে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আমরা সুষ্ঠু  নির্বাচন করতে চাই যুক্তরাষ্ট্র এটিকেই সমর্থন দিয়েছে —আব্দুল মোমেন : বাংলাদেশে ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ীদের’ ভিসা না দেয়ার যে নতুন নীতি যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, তাতে সরকার ‘মোটেও ভীত নয়’ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, আমেরিকার এই ভিসার রেস্ট্রিকশন শুধু সরকারি দলের ওপর নয়, অপজিশনের লোকজনেরও ওপর বর্তাবে। এতে করে আমরা আশা করি, এবার তারা (বিএনপি) ইনশাআল্লাহ একটু সচেতন হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন করতে চাই, এটিকেই তারা (যুক্তরাষ্ট্র) সমর্থন দিয়েছে। সুতরাং, নাথিং টু ওরি। সেই সাথে তারা এও বলেছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের যে আগ্রহ, সেটিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য তারা এই নীতিটা করেছে। গতকাল সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই প্রতিক্রিয়া আসে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকরা যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে দুদিন আগে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষের প্রসঙ্গ টানেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইদানীং যে জ্বালাও-পোড়াও চলে, আমরা এই জ্বালাও-পোড়াও চাই না। তাই আমরা বিশ্বাস করব, ভিসা রেস্ট্রিকশনের ঘোষণা পর এই জ্বালাও-পোড়াও দলরা একটু সচেতন হবে। রাস্তা দখল করে যে আন্দোলন, এগোলা কমবে। মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে দিয়ে, পাবলিক এবং প্রাইভেট প্রোপার্টি ধ্বংস করে, জ্বালাও-পোড়াও করে গতবার তারা তিন হাজার ৮০০টি গাড়ি, ২৭টি বগি জ্বালিয়েছে। মোমেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। আর ‘গণতন্ত্র আছে বলেই’ দেশের মানুষের উন্নতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওই ভিসানীতি নিয়ে সরকার ‘মোটেও ভীত নয়’ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘শুনছি তো যে ওটা সব দেশের জন্য। ভালো তো, চিন্তার কিছু নেই। এটি বরং আমাদের অবস্থানকে আরও শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছে। আমরা স্বচ্ছ সুন্দর ইলেকশন করে দেবো।

Link copied!