ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad
তিন মাসেও আসছে না সংশোধনী

পাঠ্যপুস্তকে ভুল শিখছে শিক্ষার্থীরা

মো. নাঈমুল হক

মার্চ ২২, ২০২৪, ১০:৪৪ পিএম

পাঠ্যপুস্তকে ভুল শিখছে শিক্ষার্থীরা

শরীফ-শরীফার গল্পের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি 
—ড. আব্দুর রশিদ, আহ্বায়ক পর্যালোচনা কমিটি

সংশোধনীগুলো আমরা এপ্রিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেব 
—অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, এনসিটিবি

শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে সংশোধনী কাজটি দ্রুত করা উচিত 
—মনিরা জাহান, পরিচালক, শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগ, জবি

স্কুলের পাঠ্যবই প্রামাণ্য দলিল হিসেবে শেখে শিক্ষার্থীরা। পাঠ্যপুস্তকে ভুল তথ্য ও বিষয় থাকা বাংলাদেশে স্বাভাবিক ঘটনা হলেও অন্য দেশে অকল্পনীয়। নতুন পাঠ্যক্রমে গত বছর চার শতাধিক সংশোধনী দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যক্রম বোর্ড-এনসিটিবি। বিগত সংশোধনী আসতে প্রায় চার মাসের মতো সময় পার হয়েছে। এবারও একই ধারায় হাঁটছে এনসিটিবি। ফলে ভুল শিখছে শিক্ষার্থীরা। তবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, তিন-চার মাস সময় বেশি দেরি নয়। এপ্রিলেই আমরা সংশোধনীগুলো পাঠিয়ে দেবো। যদিও শিক্ষাবিদরা মনে করেন, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে পাঠ্যপুস্তকের ভুলের সংশোধনী দ্রুত আসা উচিত। 

জানা গেছে, এবারও বছরের শুরু থেকেই বিভিন্ন বইয়ে ভুল ধরা পড়ে। এসব ভুলের ব্যাপারে বেশ কয়েকটি সংবাদ জাতীয় পত্রিকা ও অনলাইন মাধ্যমে এসেছে। এরই প্রেক্ষিতে এনসিটিবি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী চায়। কিন্তু বছরের তিন মাস শেষেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেই সংশোধনী পৌঁছাবে না। ফলে এই সময়গুলোতে পাঠ্যবই থেকে ভুল শিখবে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত সময়ে সংশোধনী দেয়ার কথা জানিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক মনিরা জাহান আমার সংবাদকে বলেন, পাঠ্যপুস্তকে ভুল কাম্য নয়। শিক্ষাবর্ষের কথা চিন্তা করে ভুল দ্রুত সংশোধিত হয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে চলে আসা প্রয়োজন ছিল। একটি বইয়ের সব তো আর ভুল নয়। 

সংশোধিত অংশ শিক্ষার্থীদের কাছে আসতে দেরি যেহেতু হয়ে গেছে, এ ক্ষেত্রে শিক্ষকরা ভুল অংশগুলো তাদের বিষয় জ্ঞান দিয়ে পূর্ণ করে শিক্ষণ প্রক্রিয়াটি চলমান রাখবেন বলে আশা করছি। এ ছাড়া শিক্ষকরা সঠিক অংশগুলো প্রতিদিনের পাঠ্যবিষয়ে রাখতে পারেন। পরবর্তীতে সংশোধিত অংশের পাঠগুলো পড়াতে পারেন। এর ফলে শিক্ষার্থীদের  ক্ষতি অনেকটা হ্রাস করা যাবে বলে আমি মনে করি। আসলে সংশোধনী বিষয়ের জন্য এনসিটিবিকে অনেক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। চাইলেও তা দ্রুত করা কষ্টকর। তবে শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে  সংশোধনী কাজটি দ্রুত করা উচিত।

এনসিটিবির সদস্য ড. মশিউজ্জামান আমার সংবাদকে বলেন, বইয়ের যেকোনো সংশোধনী থাকলে আমরা সেগুলো জানাতে বলেছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি সংশোধনী আমরা পেয়েছি। যেখান থেকে যতগুলো সংশোধন পাচ্ছি, সেগুলো আমরা সংগ্রহ করছি। এরপর কমিটির মাধ্যমে আমরা সেগুলো পর্যালোচনা করব। সর্বশেষ সংশোধনী আকারে পাঠানো হবে। বছরের শুরুতে শরীফ-শরীফার গল্প নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিতর্কে মুখে এ বিষয়ে পর্যালোচনা করার জন্য কমিটি গঠন করে শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু দুই মাস পার হলেও এ ব্যাপারে এখনো কোনো পর্যালোচনা জানাতে পারেনি পাঁচ সদস্যর এ কমিটি। 

শরীফ-শরীফার গল্পের সংশোধনীর ব্যাপারে কমিটির আহ্বায়ক ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আব্দুর রশিদ আমার সংবাদকে বলেন, আমরা দুবার একসাথে বসেছি। আমরা আরেকবার মিলিত হবো। কিন্তু আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি।  এখনো রিপোর্ট ফাইনাল করতে পারিনি। আমাদের কিছু পড়ালেখা করতে হচ্ছে, জানতে হচ্ছে। এটি একটি জাতীয় বিষয়, চাইলে হুট করেই কোনো কিছু দেয়া যায় না। এ মাসের মধ্যে সংশোধনী দিতে পারবেন কি-না এমন কিছু জানাতে পারেননি তিনি। 

ভুল সংশোধনীর ব্যাপারে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম আমার সংবাদকে বলেন, আমরা আমাদের মতো করে বসেছি। কয়েকটি বিষয়ের সংশোধনী রয়েছে। ওই সংশোধনীগুলো আমরা এপ্রিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেবো। সংশোধনীতে দেরি হচ্ছে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেকোনো বিষয় চাইলেই সংশোধনী আনা যায় না। এর একটি প্রক্রিয়া আছে। আমাদের প্রক্রিয়া মেনেই কাজ করতে হয়। তিন-চার মাস সময় বেশি দেরি নয়। শরীফ-শরীফার গল্পের ব্যাপারে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। এটি তাদের বিষয়। এটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমাদের কাছে আসলে আমরা সংশোধনী দেবো।
 

Link copied!