ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

মাধ্যমিকে করোনার ধাক্কা

মো. নাঈমুল হক

মার্চ ২৯, ২০২৪, ১২:০১ পিএম

মাধ্যমিকে করোনার ধাক্কা
  • চার বছরে কমেছে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী
  • বেড়েছে মাদ্রাসা  কারিগরি ও ইংরেজি মাধ্যমে

করোনায় অনেক শিক্ষার্থী কর্মজীবনে প্রবেশ করেছে

—সোলাইমান খান, সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়

শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার জন্য আরও আগেই উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন ছিল       এখনো সময় শেষ হয়ে যায়নি

—অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান, সাবেক পরিচালক, আইইআর, ঢাবি

দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী গত চার বছরে কমেছে ১০ লাখের বেশি। তবে এ সময়ে মাদ্রাসা, কারিগরি ও ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার্থী বেড়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করার কর্মশালা হয়েছে। সেখানে প্রতিবেদনটির সংক্ষিপ্ত তথ্য উপস্থাপন করা হয়। শিক্ষার্থী কমার কারণ হিসেবে করোনাকে দায় দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে শিক্ষাবিদরা মনে করেন, করোনার পরও এক বছর পার হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন ছিল।

ব্যানবেইসের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখের বেশি, ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ৮১ লাখ ৬৬ হাজার। অর্থাৎ চার বছরে কমেছে ১০ লাখ ৩৪ হাজার শিক্ষার্থী। অন্যদিকে চার বছরের ব্যবধানে সরকারের অধীনে থাকা দাখিল ও আলিম ধারার মাদ্রাসায় আড়াই লাখের বেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে। বর্তমানে মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থী ২৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৯১ হাজারের বেশি। এ ছাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়াও স্কুল অ্যান্ড কলেজ অর্থাৎ যেখানে উচ্চমাধ্যমিকের পাশাপাশি মাধ্যমিক স্তরেও পড়ানো হয়, সেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ৮০ হাজারের মতো। সরকার কারিগরি শিক্ষাকে বর্তমানে গুরুত্ব দিচ্ছে। এর ফলে কারিগরিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়ছে। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী সাত লাখ ৪৪ হাজার। ২০১৯ সালে ছিল সাত লাখ শিক্ষার্থী। ওই সময় কারিগরি প্রতিষ্ঠান ছিল দুই হাজার ৩০৯টি। বর্তমানে এটির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি। কারিগরিতে ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা কম। কারিগরিতে ছাত্রী সংখ্যা ২৯ শতাংশ। এ ছাড়া ইংরেজি মাধ্যমে বেড়েছে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। ২০২৩ সালে ১২৩টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করছে ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী; যা ২০১৯ সালে ছিল ২৬ হাজারের বেশি।

তবে মাধ্যমিকে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর হার কমেছে। বর্তমানে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর হার ৩৩ শতাংশ। ২০১৯ সালে এটি ছিল প্রায় ৩৭ শতাংশ। জানা গেছে, করোনায় কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দীর্ঘ ১৮ মাস পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। সারা দেশের মাধ্যমিক থেকে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান সংগ্রহ, সংকলন ও বিতরণকারী সরকারি সংস্থা ব্যানবেইস।

করোনার কারণে শিক্ষার্থী কমার কথা জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান বলেন, আমরা সবাই শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণ জানি। দেশে করোনার কারণে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। অনেক পরিবার সন্তানদের পড়াতে চায়নি। জীবিকার তাগিদে শিক্ষার্থীদের অনেকে কর্মজীবনে প্রবেশ করে। তাদের ক্লাস রুমে ফিরিয়ে আনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

স্কুলে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান আমার সংবাদকে বলেন,  করোনার পর এক বছর পার হয়ে গেল। এ শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফেরানোর উদ্যোগ কেন নেয়া হয়নি? বিদ্যালয়ে যখনি শিক্ষার্থী কমে গেছে তখনই তো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৎপর হওয়া উচিত ছিল। মাদ্রাসা, কারিগরিতে শিক্ষার্থী বাড়ল কিন্তু স্কুলে কমে গেল কেন? এর কারণও খোঁজা প্রয়োজন। ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দিয়ে এ শিক্ষাবিদ বলেন, শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার জন্য অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বোঝানো যেত। আমাদের স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যান রয়েছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আছেন। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ডেকে তাদেরকে বোঝানো যেত। তাদের সমস্যাগুলোও শোনা যেত। যাই হোক, এখনো সময় শেষ হয়ে যায়নি। এ শিক্ষার্থীরা আমাদের সমাজেই আছে। তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।

Link copied!