নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২৭, ২০২৫, ১১:৩৮ পিএম
৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস’, ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ এবং ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে গত বুধবার পৃথক তিনটি পরিপত্র জারি করে অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রত্যেকটি দিবস যথাযথভাবে পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে ঘোষণার পরই বিশেষ করে ‘৮ আগস্ট–নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘিরে বিভিন্ন মহলে আপত্তি ওঠে, বিশেষ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–র শীর্ষ নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে।
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ফেসবুকে লিখেছেন, “নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে ৫ আগস্ট, ৮ আগস্ট নয়। ৫ আগস্টের সাধারণ ছাত্র–জনতার এই অর্জনকে সরকারের কুক্ষিগত করার চেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।”
একই দিনে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, “৮ আগস্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতা শুরু হয়নি। বরং ৮ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় স্বাধীনতা নষ্টের, ছাড় দেওয়ার ও বিপ্লব বেহাতের কর্মযজ্ঞ।” তিনি ৫ আগস্টকেই ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস’ এবং ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, “দিবস সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। এ নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে।”
সরকারি পরিপত্রে ঘোষিত এই দিবসগুলো প্রতি বছর পালনের নির্দেশনার পরই সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় পর্যায়ে দিবস ঘোষণার ক্ষেত্রে ব্যাপক জনমতের প্রতিফলন থাকা প্রয়োজন।
ইএইচ