Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

জনস্বাস্থ্যের নলকূপে ভোগান্তি

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

মে ১৪, ২০২২, ০৪:৫৯ পিএম


জনস্বাস্থ্যের নলকূপে ভোগান্তি

গভীর নলকূপ বসানোর কাজে গাফেলতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।  

উপজেলার বড়তলী গ্রামের এখলাছুর রহমান ও পাবই গ্রামের নুরুল আমিন এদুজন এমন অভিযোগ করেছেন। তবে জনস্বাস্থ্যের নলকূপ বসানো নিয়ে হয়রানির অভিযোগ অসংখ্য মানুষের।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ছাব্বির আহম্মেদ আকুঞ্জি শনিবার (১৪ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, জনস্বাস্থ্যের নলকূপ নিয়ে অনেকেরই ভোগান্তির অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রকৌশলীর সাথে কথা বলবো।

এখলাছুর রহমান তার নিজের বাড়িতে গভীর নলকূপ বসানো নিয়ে স্থানীয় জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের নানা গাফেলতির বিষয় উল্লেখ করে বলেন, নিজের বাড়িতে বসানোর একটি গভীর নলকূপের (সাব মার্সেবল) আবেদন করার পর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ১০ হাজার একশো টাকা মোহনগঞ্জ জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ে জমা দেই। পরে মার্চের ১৫ তারিখ পাইপ নিয়ে গিয়ে মিস্ত্রীরা নলকূপ বসানো শুরু করে। কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একদিনও জনস্বাস্থ্য অফিসের কেউ তদারকিতে যায়নি।

তিনি আরও জানান, হাজার ফুটের নলকূপ হলেও মিস্ত্রী ৮০০ ফুটে লেয়ার পেয়েছে বলে এখানেই থেমে যায়। যথাসময়ে লোহার পাইপ জনস্বাস্থ্য অফিস সরবরাহ না করায় মিস্ত্রী দেড়দিন অলস বসে থাকে। এদিকে এই সময়ে পাইপ লাইন জ্যাম হয়ে যায়। ওয়াশ ছাড়াই পাইপ বসানো হয়। এরপর মটর নিয়ে যেতেও বেগ পোহাতে হয়েছে আরও কয়দিন। সবশেষে মটর লাগানোর পর পানি ওঠে না। জনস্বাস্থ্য অফিসে জানানো হলেও কেউ যায়নি। এক পর্যায়ে জানানো হয় ওয়াশ মেশিন কলমাকান্দা আছে সেটা এলে যাবে। ওয়াশ মেশিন নিয়ে ওয়াশ মিস্ত্রীরা যায় ২১ এপ্রিল। সারাদনি চেষ্টা শেষে তারা জানায় এই লাইন ড্যামেজ পানি উঠবে না। বিষয়টি নির্বাহী কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানানো হলেও কোন ফল হয়নি। এখনো পর্যন্ত এভাবেই নলকূপটির যন্ত্রপাতি বাড়িতে পড়ে আছে। দ্রুত তার নলকূপটি বসিয়ে ভোগান্তি নিরসনে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মর্কর্তাদের দৃষ্টি করেন তিনি।

এছাড়াও পাবই গ্রামের নুরুল ইসলাম নামে অপর ভুক্তভোগী গভীর নলকূপ নিয়ে একই ধরণের হয়রানি হওয়ার অভিযোগ করেন।

বিষয়টি অবগত করলে জনস্বাস্থ্যের মোহনগঞ্জ কার্যালয়ের উপ-প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন শনিবার (১৪ মে) বলেন, কাদা জমে জ্যাম হয়ে যাওয়ার কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। অফিসে পাইপের সংকট ছিল। তবুও আমরা যথাযথভাবে ম্যানেজ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে ঈদের পরে মেকানিক এখনো কাজে যোগ দেয়নি। দুই-তিন দিনের মধ্যে চলে আসবে। আসলে এখলাছুর রহমানের নলকূপের কাজটা প্রথমে করে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমাদের কার্যালয়ে মূলত চারজন মেকানিক রয়েছে। আর ওই সময়ে একসাথে প্রায় বিশটির মতো নলকূপের কাজ চলছিল। সে কারণে সব জায়গায় যেতে পরেনি তারা। এরমধ্যে নারী মেকানিকদের জন্য দূরের রাস্তায় যাওয়াটাও কঠিন হয়ে পড়ে।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ছাব্বির আহম্মেদ আকুঞ্জি বলেন, শুধু এখলাছুর রহমান নয় আরও অনেকে নলকূপ নিয়ে ভোগান্তির অভিযোগ করেছেন আমার কাছে। প্রকৌশলীকে অনেকবার তাগাদাও দিয়েছি যথা সময়ে কাজ করে দেওয়ার জন্য। আমি আবারও বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো।

আমারসংবাদ/কেএস 

Link copied!