তৃষ্ণা মিটাচ্ছে কচি তালের শাঁস

প্রকৃতিতে এখন মধু মাস। বাজারে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু সহ নানা জাতের রসালো ফলের সমাহার। রয়েছে কচি তালের শাঁসও। টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা পরিষদের মূল ফটকের পাশে তালের শাঁস বিক্রি করছেন আফিজুল মিয়া নামের এক যুবক। 

গ্রীষ্মের তীব্র তাপদহে হাঁসফাঁস করা মানুষগুলো তৃষ্ণা মেটাতে ভিড় করছে তার কচি তালের শাঁস কিনতে ভীড় করছেন ক্রেতারা। আর আফিজুল ধারালো দা দিয়ে তালের শাঁস বের করে তাদের তৃষ্ণা মিটাচ্ছে। প্রতিটি বড় সাইজের তাল ২৫ টাকা, মাঝারি ২০ টাকা ও তার চেয়ে একটু ছোট ১৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

তাল বিক্রেতা আফিজুল মিয়া জানায়, তীব্র গরমের কারণে বাজারে কচি তালের চাহিদা অনেক বেশি। এই তালগুলো তিনি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কিনে এনে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন। 

তিনি আরো জানান, এখন তালের শাঁসের দাম একটু বেশি হলেও স্থানীয়ভাবে যোগন শুরু হলে দাম কমতে শুরু করবে।

সখীপুর বাজার বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তীব্র্র গরমে মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে, কচি ডাবের দাম অনেক বেশি। তাই পিপাসা মিটাতে সাধারণ মানুষ কচি তালের শাঁসের দিকে বেশি ঝুঁকছে। এখানে বেশির ভাগ তালই উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কিনে এনে বিক্রি করে। বেশি চাহিদার কারণে দামও বেশি। তবে কয়েক দিন পর দাম কমতে শুরু করবে।

কি এমন গুণাগুণ আছে কচি তালের শাঁসে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো.শাহীনুর আলম বলেন, একটি তালের শাঁসের ৯২ শতাংশই জলীয় অংশ, ক্যালরি থাকে ২৯, শর্করা ৬ দশমিক ৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪৩ মিলিগ্রাম, খনিজ শূন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৪ মিলি গ্রাম।

তিনি আরো বলেন, এর বেশির ভাগ অংশ জলীয় হওয়ায় শরীরে পানির চাহিদা মেটাতে সক্ষম। যদি আবহাওয়ার কারণে দ্রুত শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায় সেটিও পূরণ করতে পারে। তাছাড়া তালের শাঁস শরীরকে দ্রুত শীতল করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরের কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থও বের করে দেয়। সবারই তালের শাঁস খাওয়া উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।