শেরপুর প্রতিনিধি
জুলাই ৭, ২০২২, ১১:৪৬ এএম
শেরপুর প্রতিনিধি
জুলাই ৭, ২০২২, ১১:৪৬ এএম
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পশ্চিম গেরাপচা গ্রামের নজরূল ইসলামের ছেলে যুবক আবু সাঈদকে (২৬) ৬ জুলাই দিবাগত রাত অনুমান সাড়ে বারোটায় দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে একই গ্রামের দিনমুজুর মাহফুজ (৪৫) নামের এক ব্যক্তি।
রাতেই মাহফুজ ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার পথে পৌরসভার নয়ানিকান্দা এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেন ।
নালিতাবাড়ী থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নালিতাবাড়ীর পশ্চিম গেরাপচা গ্রামের ঈমান আলীর ছেলে মাহফুজের স্ত্রী মিনারা বেগম ৪ সন্তান রেখে ৩ বছর আগে জীবিকার সন্ধানে ওমানে চলে যায়।
প্রবাস থেকে ফিরে স্বামী মাহফুজের সংসারে চলে আসে। স্বামীর সংসারে বনিবনা না হওয়াতে স্ত্রী মিনারা বেগম কয়েক মাস আগে স্বামীকে তালাক দিয়ে দিনাজপুর পিতার বাড়ি চলে যায় ।
মাহফুজের স্ত্রীর সঙ্গে একই গ্রামের ২ সন্তানের জনক আবু সাঈদের (ইলেক্ট্রেকিশিয়ান) সঙ্গে মাহফুজের স্ত্রী মিনারা বেগমের পরকিয়া সর্ম্পক রয়েছে বলে মাহফুজ সন্দেহ করে । এরই জের ধরে আবু সাঈদকে মাহফুজ হত্যা করে বলে ধারনা করা হচ্ছে ।
মাহফুজের স্ত্রী চলে যাওয়ার পর সাঈদকে সন্দেহ করে এবং প্রতিশোধের নেশায় তার সঙ্গে গভীর সর্ম্পক স্থাপন করে মাহফুজ ।
৬ জুলাই বুধবার দিবাগত রাতে উভয়ে মাছ শিকারের নামে মাহফুজ কৌশলে ঈমান আলীকে নিয়ে মাছ ধরতে যায় এবং পরিকল্পিত ভাবে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
আবু সাঈদকে নালিতাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জখম অবস্থায় নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত হয়েছে বলে জানায় ।
মাহফুজ রাতেই ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার পথে পৌর সভার গরুহাটা নয়আনি কান্দা এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যমতে হত্যায় ব্যহৃত দা টি পুলিশ উদ্ধার করেছে ।
নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ বছির আহমেদ বাদল জানান, মাহফুজ হত্যার দায় স্বীকার করেছেন । লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে । থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে ।
আমারসংবাদ/টিএইচ