Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

রংপুরে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট জনজীবন

রংপুর প্রতিনিধি

রংপুর প্রতিনিধি

জুলাই ১৯, ২০২২, ০৮:১৬ পিএম


রংপুরে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট জনজীবন
ফাইল ছবি

রংপুর অঞ্চলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় রোধে এলাকা ভিত্তিক যে লোডশেডিংয়ের সময়সূচি করা হয়েছে তা কাগজে কলমে। ফিডার অনুযায়ী দিনে একবার করে লোডশেডিং দেয়ার কথা বলা হলেও বাস্তবে তার উল্টো। এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সবার মাঝে।

মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে শুরু বিকেল ৬টা পর্যন্ত রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছয় ঘন্টাই বিদ্যুৎ ছিল না।

নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) কার্যালয় সূত্র জানায়, রংপুর জেলায় প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ১৫০ থেকে ১৫৫ মেগাওয়াট। পাওয়া যাচ্ছে ৭৫ মেগাওয়াট।  আর রংপুর বিভাগের আট জেলায় দিন–রাতে বিদ্যুতের চাহিদা ৯০০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ৪৫০ মেগাওয়াট।

সংশ্লিষ্ট সুত্র বলছে, গড়ে চাহিদার ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। যে কারণে লোডশেডিং এর তালিকা করেও সরবরাহ করা যাচ্ছে না। 
 নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) অফিস থেকে করা লোডশেডিং এর তালিকায় দেখা গেছে ৩৩ /১১ কেভি সাব স্টেশনের অধিনে শহরেই ২৩টি ফিডার রয়েছে। তাতে প্রতিটি ফিডারে দিনে একবার করে লোডশেডিং দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। 

কিন্তু সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত চার বার লোড শেডিং হয়েছে। প্রতিটি লোডশেডিং ১ ঘন্টার থেকে দেড় ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এদে দেখা যায় ১২ ঘন্টার মধ্যে ৬ঘন্টাই লোড শেডিং হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাব বার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া বিদ্যুত রেলেডেট কম্পিউটার, প্রিন্টারসহ সবধরনের ব্যবসায় অচল হয়ে পড়েছে। কাজ শুরু করে অর্ধেক কাজ শেষ না হতেই আবার চলে যাচ্ছে।

রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে হোটেল ব্যবসায়ী সাজু মিয়া বলেন, ৯টার দিকে বিদ্যুৎ এলেও তা আধঘন্টা পর আবার চলে যায়। ১ ঘন্টা পর ফের চলে যায়, আবার আসে এভাবে চারবার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করেছে। 

তিনি বলেন, আমরা ফেসবুকে  দেখছি বাজার ফিডারে দিনে একবার লোডশেডিং দিবে। কিন্তু ওরা কথা রাখলো না। গরমের কারণে কাস্টমার বেশিক্ষণ থাকে না। 
 
গুপ্তপাড়ার বাসিন্দা হাসনা রহমান বলেন, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চারবার বিদ্যুৎ গেছে। একবার গেলে দেড় ঘন্টা পর্যন্ত নাই। এখনো অর্ধেক দিন এবং পুরো রাত বাকী আছে। জানি না কতবার বিদ্যুৎ যাবে। 

তিনি বলেন, ঘোষনা দিল একটা, হচ্ছে আরেকটা। সকাল থেকে বিদ্যুৎ শুধু আসা-যাওয়া করছে। কোনো নিয়মের বালাই নেই। যায় বেশী থাকছে কম।

রংপুর চেম্বার অব কমার্সেও সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বলেন, লোডশেডিংয়ের বেশী হলে জেনারেটর দিয়ে হিমাগার চালানো হয়। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে   মজুদকৃত পণ্যের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রংপুর নেসকোর তত্বাবধায়ন প্রকৌশলী আশরাফুল আলম মন্ডল বলেন, চাহিদার বিপরীতে অর্ধেক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে এলাকাভেদে লোডশেডিংয়ের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, তবে নানা কারণে তালিকা অনুযায়ী করা যাচ্ছে না, আমরা সেটিও রক্ষা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।

Link copied!