Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪,

ইসলামপুরে পাট চাষিদের মুখের হাসি

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২, ০৩:১৫ পিএম


ইসলামপুরে পাট চাষিদের মুখের হাসি

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় উৎপাদিত পাট রপ্তানি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। কৃষি এম সময়ের প্রধান অর্থকারী ফসল পাট চাষে কৃষকের দুরবস্থা সম্মুখীন হলেও চলতি মৌসুমে উপজেলায় সোনালি আঁশের দিন ফিরেছে।

বিগত সময়ের চেয়ে গত বছর থেকে উপজেলায় পাটের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পাটের চাষ হয়েছে। তবে মৌসুমের শুরুতে পাট চাষিরা বৃষ্টির সংকটে পড়লেও তার কিছুদিন পর থেকেই পর্যাপ্ত বৃষ্টির কারণে পাট জাগ দিতে তেমন একটা সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি। আর বর্তমানে বাজারে পাটের দাম ভালো পাওয়ায় অনেক খুশি পাট চাষিরা।

এমন অবস্থা বজায় থাকলে উপজেলায় আবার পাটের সুদিন ফিরে আসবে বলে মনে করছেন পাট চাষি ও কৃষকরা । দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে পাট ব্যবসায়ীরা ক্রয় করছেন গুঠাইল বাজারে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে  ৯ হাজার ৩০০শত হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে।

সময় মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাট কেটে তা বিভিন্ন জলাশয়ে জাগ দিচ্ছেন কৃষকেরা। চাষিরা পাট কেটে নদী, নালা, খাল, বিল ও ডোবায় জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং হাটে-বাজারে তা বিক্রিসহ সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে ভালো মানের পাটের মূল্য ৩ হাজার ২০০ টাকা মণ ও নিম্নমানের পাটের মূল্য ২ হাজার ৫০০ থেকে ২হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে ন্যায্যমূল্য দাম পেয়ে পাট চাষিদের মুখে হাসি।

সাপধরী ইউনিয়নে বাবু শেখ, আলামিন মন্ডল, শিষ্কু প্রামাণিক বলেন, ‘এবার জমিতে পাট চাষ করেছিলাম, ভালো ফলন হয়েছে এবং অন্য বছরের তুলনায় দাম বেশি হওয়ায় লোকসানে পড়তে হচ্ছে না।’

বেলগাছা ইউনিয়নে হয়রত আলী মণ্ডল বলেন, ‘মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তবে পড়ে বৃষ্টি হওয়ার ফলনও ভালো হয়েছে ন্যায্য মূল্যে পাট বিক্রয় করেছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এল.এম. রেজুয়ান বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এ বছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। আবহাওয়া পাট চাষের অনুকূলে থাকায় পাটের ফলনও ভালো হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পাট ন্যায্য মূল্য বিক্রয় করছেন কৃষকরা।

এসএম

Link copied!