Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪,

আমনে লোকসানের শঙ্কা কাটিয়ে উঠেছে নাগরপুরের কৃষক

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২, ০৬:৩২ পিএম


আমনে লোকসানের শঙ্কা কাটিয়ে উঠেছে নাগরপুরের কৃষক

অতিরিক্ত তাপদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে এবার আমন মৌসুমে দুঃচিন্তায় ছিলেন চাষিরা। গত মৌসুমের তুলনায় এবার এ মৌসুমে আমন ধানে বড় ধরনের লোকসানের শঙ্কা ছিলো মনে। তাছাড়া উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় কৃষকরা ছিলেন আতংকিত। এতদ কারণে আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়েও শঙ্কা নেহাৎ কম নয়। তবে জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের কৃষিপণ্য উৎপাদন উপকরণের দাম বাড়ানোর কারণে বেড়েছে অযাচিত খরচও। তারপরও ভালো ফলন আর ভালো দাম পাওয়ার আশায় আমন চাষে লোকসানের শঙ্কা কাটিয়ে উঠবেন- এমন আশায় বুক বেঁধেছেন নাগরপুরের চাষিরা।

কৃষকরা বলছেন, গত মৌসুমে এক বিঘা ধান চাষে খরচ হয়েছিল ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। এবার ধান চাষে চাষিদের খরচের অংক দাঁড়িয়েছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায়। একদিকে খরচ বৃদ্ধি অন্যদিকে প্রকৃতির বৈরী আচরণ। আর ঠিক এমন সময় সেচের পানি নিয়ে নতুন বিপাকে পড়তে হয় তাদের। জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের কৃষিপণ্য উৎপাদন উপকরণের দাম বাড়ানোর কারণে বেড়েছে উৎপাদন খরচও। এজন্য চাষিদের ফসল উৎপাদন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

নাগরপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত ধান রোপণ করে চাষিরা। আগাম জাতের ধান অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে কাটা শুরু হলেও নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ধান কর্তন শেষে কৃষকের ঘরে উঠে সোনালী ফসল। এবার এ উপজেলায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে ২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার তুলনা এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে আমনের চাষ। গত বছর উপজেলার ২ হাজার হেক্টর জমিতে ৫ হাজার ১৩৩ মেট্রিক টন আমন ধান উৎপাদন হয়েছিলো।

নাগরপুর উপজেলার পাঁচতারা গ্রামের কৃষক আলম বলেন, স্বস্তির বৃষ্টিতে আমন চাষে ব্যস্ততা বেড়েছে। পুরোদমে শুরু হয়েছে জমি প্রস্তুতের কাজ। গতবছর খরচ কিছুটা কম হওয়ায় লাভের মুখ দেখেছিলাম। এ বছর একদিকে খরচ বেশি অন্যদিকে প্রকৃতির বৈরী আচরণ। চলতি মৌসুমে গত বছরের চেয়ে বেশি জমিতে ধান চাষ করছি। তারপরও ভালো ফলন আর ভালো দাম পাওয়ার আশায় আমন চাষে লোকসানের শঙ্কা কাটিয়ে উঠতে পারবো আশা করি।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা জানান, ইরি ধানের চেয়ে খরচ কিছুটা কম হওয়ায় প্রতিবছরই আমন চাষ করে থাকেন। বৃষ্টি হওয়ায় এখন তারা চাষাবাদে ব্যস্ত। সেচ খরচ নেই বললেই চলে, তবে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় আমন চাষে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবারও আমনের বাম্পার ফলনের আশা করছি। এবারও ভালো ফলনে ভালো দামের প্রত্যাশা থাকবে।

এ বিষয়ে নাগরপুর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল মতিন বিশ্বাস বলেন, সব ঠিক থাকলে এবার আমনের বাম্পার ফলন হবে। উচ্চ ফলশীল ধান জাতের ব্রি-ধান ৮৭, ব্রি-ধান ৭৫, বিনা ধান-১৭ সহ অনেক জাতের ধান রোপণ করা হচ্ছে। এ জাতের ধান আগাম চাষ হয়ে থাকে। কৃষি বিভাগ থেকে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের চেয়ে এবারও ভালো ফলন পাবার প্রত্যাশা। ভালো ফলন আর ভালো দাম পেলে আমন চাষে লোকসানের শঙ্কা কাটিয়ে উঠবেন কৃষক।

এসএম

Link copied!