Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪,

পলাশে জাল দলিল দিয়ে জমি আত্মসাতের চেষ্টা

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি

নভেম্বর ২০, ২০২২, ০৫:০৮ পিএম


পলাশে জাল দলিল দিয়ে জমি আত্মসাতের চেষ্টা

নরসিংদীর পলাশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে জাল দলিল ও জাল বি.আর.এস পর্চা দিয়ে নামজারি ও জমাভাগ আবেদনের মাধ্যমে জমি আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের কুড়াইতলী গ্রামের মৃত জয়চন্দ্র রায়ের পুত্র স্বপন রায় ও মৃত রতন রায়ের ছেলে শ্রাবন রায়ের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ রয়েছে, অর্থের বিনিময়ে এসব ভূয়া ও জাল কাগজপত্র তৈরি করেছেন তারা। এর প্রতিকার চেয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়ে উপজেলা সহকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে গত ১৭ নভেম্বর প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ করেছেন, একই ইউনিয়নের কাটাবের গ্রামের পাঁচজন ভুক্তভোগী। অভিযোগের অনুলিপি, জিনারদী ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা বরাবরে জমা দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর উপজেলার টেঙ্গরপাড়া মৌজার আর.এস ২৭৭ নং খতিয়ানের  আর.এস ১৩২০ দাগের জমি অভিযুক্তদের নামে নামজারি ও জমাভাগ করার জন্য উক্ত দাগে একটি জাল দলিল ও একটি জাল বি.আর.এস পর্চা সংযুক্ত করে তাদের ভোটার আইডির ফটোকপি, ছবিসহ আবেদনপত্রে একাধিক সাক্ষর দিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে একটি আবেদনপত্র জমা দেন। যার আবেদন নং ৬৪৪/২২-২৩।  

উক্ত আবেদনে তারা, ২২/০৩/১৯৭২ইং তারিখের সাব-রেজিস্ট্রার অফিস নরসিংদী দেখিয়ে দলিল নং- ৯৩১৩ জমা দেন। পরর্বতীতে এ খবর ভোক্তভোগীরা জানতে পেয়ে, ওই দলিলের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অত্র অফিস থেকে উক্ত দলিলের ফটোকপি নিয়ে সার্টিফাইড কপি তোলার জন্য নরসিংদী জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের দারস্ত হন। কিন্তু জেলা রেজিস্ট্রার অফিস ঐ দলিলের বিষয়ে একটি লিখিত ব্যাখা দেন।

যাতে স্পষ্ট দেখা যায়, উক্ত দলিলের দাতা ও গ্রহীতার সাথে নামজারিতে আবেদন করা দলিলের দাতা- গ্রহীতা কোন মিল নাই। যা সম্পূর্ণ ভুয়া ও জাল। এ ছাড়া উক্ত দাগে ভোক্তভোগীদের নামে রেকর্ড হওয়া একই বি.আর.এস পর্চা অভিযুক্তদের নামে জাল বানিয়ে উক্ত নামজারীতে আবেদনকারী ব্যক্তিরা প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, শুধু তাই নয় উক্ত দাগে তাদের  করা নরসিংদী বিজ্ঞ ২য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতের ১১৬/১০ দেওয়ানী বিচারাধীন মামলায় হয়রানির উদ্দেশ্যে অভিযুক্তরা দখলবিহীন অন্য আরেকটি দলিলের বৈধতা চেয়ে গত ২৬-০৫-২০২২ ইং তারিখে বিবাদীতে শ্রেণীভুক্ত হয়ে পক্ষভুক্তি হওয়ার জন্য চেষ্টা করেন। উক্ত দাগে ওই এজাহারের দলিলের বিবরণের সাথে নামজারির আবেদন করা দলিলের বিবরণের কোন মিল নাই। দুই স্থানে দুই রকম বিবরণ দিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন অভিযুক্তরা। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন ভোক্তভোগীরা। এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্তদের নামজারিতে ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। নাম্বারটি ব্যস্ত দেখায়।

উপজেলা সহকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিলভিয়া সিন্ধা জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেএস 

Link copied!