ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

রূপসায় বেড়েছে ঘাসের চাষ

রূপসা (খুলনা) প্রতিনিধি

রূপসা (খুলনা) প্রতিনিধি

নভেম্বর ২২, ২০২২, ০৯:১৪ পিএম

রূপসায় বেড়েছে ঘাসের চাষ

খামার মালিকদের অর্থ সাশ্রয় ও গবাদি পশুর খাদ্য চাহিদা মেটাতে খুলনায় রূপসা উপজেলায় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ঘাসের চাষ বেড়েছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ একর জমিতে উন্নতমানের এসব ঘাসের চাষ করা হচ্ছে। ঘাসের চাষ আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ কুমার মজুমদার।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে গবাদি পশুর খামার রয়েছে চার শতাধিক। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে পশুর দানাদার খাবারের মূল্য হু হু করে বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে দফায় দফায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় পশুর খাবারের মূল্য ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পায়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ধানের কুটোর মূল্যও লাগামহীন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলার খামারীরা তাদের পশু পালনে হিমিশিম খেতে থাকে। এদিকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় খামারীদের পাশে এগিয়ে আসে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর। খামারীদের গবাদি পশুর প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ সরবরাহের পাশাপাশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বিদেশী উন্নত জাতের নেপিয়ার ও পাকচুং ঘাস চাষে উদ্বুদ্ধ করে। খামারের লাভের আশায় সাড়া জাগে খামারীদের মাঝে। অনেক আগে থেকেই স্বল্প পরিসরে ঘাসের চাষ চলমান থাকলেও ২০০০ সালের পর থেকে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি খামারী ঘাসের চাষ শুরু করে।

উপজেলার কাজদিয়া গ্রামের পশু খামারী গৃহবধূ ফারজানা তাসকিন বলেন, আমার খামারে ২টি উন্নত জাতের গাভী ও একটি বাছুর রয়েছে। চড়া মূল্যে এদের খাবার ক্রয় করতে মারাত্মক সমস্যায় পড়েছিলাম। একবার চিন্তা করেছিলাম গাভী বিক্রি ফেলবো। এসময় উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের পরামর্শে ঘাসের চাষ শুরু করি। প্রথম দিকে অল্প জমিতে ঘাসের চাষ করলেও বর্তমানে চার শতক জমিতে ঘাসের চাষ করছি। এই ঘাস খাওয়ানোর ফলে গাভীর চেহারা বদলে গেছে। একদিকে স্বাস্থ্যবান অন্যদিকে পূর্বের তুলনায় বেশি করে দুধ দিচ্ছে।

একই গ্রামের খামারী জোবায়ের মাহমুদের খামারে চারটি উন্নত জাতের গরু রয়েছে। তিনি বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শে ঘাসের চাষ করে লাভবান হচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, এই ঘাস চাষে খুব একটা ঝামেলা নেই। ঘাসের কাটিং মাটিতে পুতে দিয়ে পানি দিলেই বেড়ে ওঠে। একবার লাগালে এই ঘাস আর মারা যায়না। গোড়া থেকে কেটে নেওয়ার পর আবার সেখান থেকে চারা জন্মায়। যে কারণে এখন আর পশুর খাবার নিয়ে চিন্তা করতে হয়না।

এ গ্রামে আনিছুর রহমান নামে আরো একজন খামারী রয়েছেন। তার খামারে রয়েছে তিনটি গাভী। তিনিও তার খামারের পশুর জন্য ঘাসের চাষ করেছেন।

রূপসা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ কর্মী শেখ আব্দুল গফুর বলেন, ডা. প্রদীপ কুমার স্যারের দিক নির্দেশনা মোতাবেক পশু খামারীদের ঘাস চাষে উদ্বুদ্ধ করে চলেছি। পাশাপাশি খামারীদের ঘাসের উৎপাদন কেমন হচ্ছে, কারো কোন সমস্যা আছে কিনা সে ব্যাপারেও নিয়মিত খোজ-খবর নিচ্ছি।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ কুমার মজুমদার বলেন, পশু খামারীদের অর্থ সাশ্রয় ও পশুর সু-স্বাস্থ্য দৈহিক গঠন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার প্রতিটি খামারীকে উন্নত জাতের নেপিয়ার ও পাকচুং ঘাস চাষে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করি।

তিনি আরো বলেন, নিয়মিত এই ঘাস খাওয়ালে বাজার থেকে চড়া মূল্যে দানাদার খাবার কিনে পশুকে খাওয়াতে হবে না। দানাদার খাবারে যেসব পুষ্টিগুণ রয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে এই উন্নত জাতের নেপিয়ার ও পাকচুং ঘাসে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ছে। উপজেলার চারশ খামারী নিজেদের জমিতে চাষাবাদ করা ঘাস পশুকে খাইয়ে সুফলও পাচ্ছে। একারণে খামারীরা আরো বেশি জমিতে ঘাস চাষ করার উদ্যোগ নিয়েছে।

এসএম

Link copied!