Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

আগামী ২০ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে করোনার চতুর্থ ডোজ

এবার বরিশাল বিভাগে টার্গেট ৫ লক্ষাধিক মানুষ

আরিফ হোসেন, বরিশাল ব্যুরো

আরিফ হোসেন, বরিশাল ব্যুরো

ডিসেম্বর ১৮, ২০২২, ০৪:২১ পিএম


এবার বরিশাল বিভাগে টার্গেট ৫ লক্ষাধিক মানুষ

আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে সারা দেশে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ/ চতুর্থ ডোজ টিকা প্রদান কার্যক্রম। প্রথম দফায় ষাটোর্ধ্ব, সম্মুখসারির যোদ্ধা ও কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন, গর্ভবতী মহিলা এবং দুগ্ধদানকারী মায়েদের এই টিকা প্রদান করা হবে। সে হিসাবে বরিশাল বিভাগে এখনো টার্গেট নির্ধারণ না করা হলেও ৫ লাখেরও বেশী মানুষকে টিকা প্রদানের কথা জানিয়েছে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর। তবে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ গ্রহণকারীদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে জেলা-উপজেলা দপ্তরের কর্মকর্তারা।

দমানুষ টিকা নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও অবহিত করেছেন সিভিল সার্জনরা। তবে করোনার পরবর্তী ঢেউ মোকাবিলা করতে পূর্ব প্রস্তুতির জন্য আগে ভাগেই দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ শুরু করতে চায় সরকার। এজন্য প্রচার-প্রচারণাও শুরু করা হয়েছে।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হুমায়ূন শাহীন খান জানান, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই বিভাগের সকল স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২০ ডিসেম্বর একযোগে বিভাগের ৪২টি উপজেলায় দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ প্রদান শুরু হবে। তিনি জানান, প্রথম বুস্টার ডোজ বা টিকার তৃতীয় ডোজ নেওয়ার পর চার মাস অতিবাহিত হলে যে কেউ চতুর্থ ডোজ বা দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। টিকা কার্যক্রমে এর আগে যেসব স্থায়ী কেন্দ্র ছিল সেখানে টিকা দেওয়া হবে। অস্থায়ী কেন্দ্রে দেওয়া হবে না।

ডা. হুমায়ূন শাহীন খান বলেন, বিভাগের সকল টিকা কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে এখনো লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়নি কত লোককে চতুর্থ ডোজ বা দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।

জানা গেছে, বিভাগের ৬ জেলায় এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ ডোজ টিকা সংরক্ষিত রয়েছে। সিভিল সার্জনবৃন্দের চাহিদাপত্রের অনুকূলে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে আরও টিকা পাঠানো হচ্ছে।

বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, আমরা নির্দেশনা পেয়ে টিকাকেন্দ্র প্রস্তুত করেছি। এখন পর্যন্ত বরিশাল জেলায় দেড় লাখ ডোজ টিকা সংরক্ষিত রয়েছে। টিকা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। ধাপে ধাপে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ সকলেই পাবেন। চতুর্থ ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা ব্যবহার করা হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৩য় ডোজ পাওয়ার পর ৪ মাস অতিবাহিত হয়েছে এমন ব্যক্তিদের ২য় বুস্টার বা ৪র্থ ডোজ প্রদান করা যাবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশব্যাপী সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে অবস্থিত সব স্থায়ী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে (বিশেষায়িত হাসপাতাল, সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ৫০০, ২৫০ এবং ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ইত্যাদি) চলমান বুথে ৪র্থ ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে।

এসএম

Link copied!