Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪,

শেরপুরের ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ২৬, ২০২২, ০৬:৩৫ পিএম


শেরপুরের ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

বগুড়ার শেরপুরে সাংবাদিকদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানার অপসারণের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন সম্মিলিত সাংবাদিক জোটের নেতৃবৃন্দরা। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে ইউএনও সানজিদা সুলতানা একটি ঘটনার তদন্তে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি যে বক্তব্য প্রদান করেন স্থানীয় জনগণ তা লিখিত প্রতিবেদন বা নোটিশ আকারে দেওয়ার দাবি করেন। উপস্থিত সাংবাদিকরা জনগণের দাবির বিষয়ে তার মতামত জানতে চান। এসময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, “শেরপুরের সাংবাদিকরা কেউই জনকল্যাণে কাজ করে না। শুধু নিজের স্বার্থে কাজ করেন”। তার এই বক্তব্য আমাদেরকে আহত করেছে। যে ইউএনও ঢালাও ভাবে সকল সাংবাদিক সম্পর্কে জনসম্মুখে বিষাদগার করেন এবং এর জন্য বিন্দুমাত্র অনুতাপ প্রকাশ করেন না, তার উপস্থিতিতে আমরা লজ্জিত বোধ করি। তাই ইউএনওকে অপসারণের দাবীতে গত ১২ ডিসেম্বর সম্মিলিত সাংবাদিক জোটের ব্যানারে মানববন্ধন করেছি। আমরা ইতিমধ্যে তার উপস্থিতিতে যে কোন কর্মসূচীর সংবাদ পরিবেশন বন্ধ রেখেছি। শুধু আচরণগত নয়, দায়িত্ব ও পেশাগত দিক থেকেও তার দক্ষতা ও সততার অভাব রয়েছে। আপনি তদন্ত করে দেখুন, সরকারি নীতিমালা ও আইন উপেক্ষা করে শেরপুর উপজেলার শতাধিক জায়গায় মাটি কেটে আবাদি জমি উজাড় করা হচ্ছে। এসবের হোতাদের সাথে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই তিনি এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। আমরা তাকে অবগত করলে শুধু ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। কিন্তু মাটি কাটা বন্ধ হয় না।

সম্প্রতি মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও সমিতি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়েছে। এসব কাজে উপজেলা অফিসের কর্মচারীরা যুক্ত ছিল। এবিষয়ে আমরা তাকে অবগত করেছিলাম। শুধু অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটা দায় মুক্তির স্ট্যাটাস দিয়েছেন। কিন্তু আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

সারা দেশের ন্যায় শেরপুরেও আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ঘর নির্মাণের কাজ চলমান আছে। কাগজে কলমে কমিটি থাকলেও সেই কাজে কোন কর্মকর্তাকে তিনি সম্পৃক্ত করেননি। আমরা সেখানে সরেজমিনে গেলে, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা, ৪০ দিনের কর্মসূচি প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো, ভরাট কাজে বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করা, ফসলি জমি কেটে পুকুর খনন করাসহ নানা অনিয়মের কথা জনগণ আমাদেরকে জানিয়েছেন। অনুসন্ধানে তার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত অনিয়মের খবর দেশের প্রথম সারির জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

এ অবস্থা চলতে থাকলে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার বর্তমান সরকারের যে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা তা শতভাগ ব্যর্থ হবে। তাই আমরা বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অপসারণ করে তার স্থলে একজন দক্ষ, সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তাকে পদায়নের জন্য দাবি জানান সম্মিলিত সাংবাদিক জোটের নেতারা।

এ ব্যাপারে বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, শেরপুরের সম্মিলিত সাংবাদিক জোটের দেয়া স্মারকলিপি গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসএম

Link copied!