Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪,

বাউকুল চাষে ভাগ্যবদল

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

জানুয়ারি ২২, ২০২৩, ০৫:০৫ পিএম


বাউকুল চাষে ভাগ্যবদল

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের গবেষণার ফসল উচ্চফলনশীল জাতের বাউকুল। সুস্বাদু, সুমিষ্ট, দৃষ্টিনন্দন, রং, রসসহ বহুগুণে সমৃদ্ধ বাউকুল ।

বাউকুল দেশের অনেক অঞ্চলে আপেল কুল নামেও পরিচিত। স্বল্প খরচে অধিক লাভ ও ঝুঁকি কম থাকায় বেকার যুবসমাজ ও চাষীদের একটি বিরাট অংশ এ কুল চাষের দিকে ঝুঁকছেন। কুল চাষ করে এ জেলার অনেকেই তাদের ভাগ্যবদল করেছেন।

ফিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় চরনী পত্তাশী, কালাইয়া, পত্তাশী, রামচন্দ্রপুর বালিপাড়া, দক্ষিণ ইন্দুরকানী গ্রামের কৃষকরা বাউকুল, বলসুন্দরি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। 

বাউকুল চাষ করে ভাগ্যবদল হয়েছে চরনি পত্তাশী গ্রামের লতিফ হাওলাদারের ছেলে মাসুম হাওলাদারের।

তিনি ১৫ কাটা জমিতে বাউকুলের পাশাপাশি বলসুন্দরি কুল চাষ করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি এই গাছের ফাঁকে বিভিন্ন প্রকারের সবজি চাষও করেন। বাউকুল গাছ লাগানোর ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে ফল পাওয়া যায়।

এই অল্প সময়ে মধ্যেই একটি গাছ থেকে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ কেজি কুল পাওয়া যায়। এক একটি বাউকুলের ওজন ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম। বিভিন্ন হাট বাজারে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা করে বিক্রি করেন এবং পাইকারি বিক্রি করে থাকেন।  
মাসুম হাওলাদার জানান, আমি কয়েক বছর ধরে এই বাউকুল, বলসুন্দরী চাষ করে আসছি। আমার নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে যতটুকু পারি নিজেই কাজ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন সময় কৃষি কাজ করে আসছি। এই ফল বাংলা সনের ফাল্গুণ মাসের শেষের দিক থেকে পুরাতন কুল গাছের ডাল কেটে ফেলে জমিতে সেচ ও পরিচর্যার কাজ শুরু।

কার্তিক মাসের প্রথম দিকে কুল গাছে ফুল ধরার পর বিভিন্ন কীটনাশক স্প্রে করা হয়। 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুন নেছা সুমি জানান, কুল একটি মৌসুমী ফল। দেশের মানুষের বিকল্প খাদ্য হিসাবে ও পুষ্টির পূরণে অনেকটা সহায়তা করে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে কুল বিদেশে রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। তার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আমরা কৃষি অফিস থেকে যতটুকু পারি তাকে সার্বিক সহায়তা করে আসবো।

এআরএস

 

 

Link copied!