Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪,

গাইবান্ধায় তাপদাহের সাথে লোডশেডিং, অতিষ্ঠ জনজীবন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

এপ্রিল ১৭, ২০২৩, ১২:০৯ পিএম


গাইবান্ধায় তাপদাহের সাথে লোডশেডিং, অতিষ্ঠ জনজীবন

গাইবান্ধায় বৈশাখের খরতাপে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। অস্বস্তিকর গরমের মধ্যেই শুরু হয়েছে দফায় দফায় লোডশেডিং। দুপুর, সন্ধ্যা, গভীর রাত কিংবা ভোর কোনো নিয়মই মানছে না বিদ্যুতের লুকোচুরি। প্রচন্ড গরমের মধ্যে দফায় দফায় লোডশেডিংয়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে গাইবান্ধার জনজীবন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মশার উৎপাত। সব মিলিয়ে সীমাহীন কষ্টের মধ্যে সময় কাটাচ্ছে গাইবান্ধার মানুষ। 

রোজার মধ্যে গরমের তীব্রতায় দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। এই তাপমাত্রা আরও ২/৩ দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গত কয়েকদিন ধরে গাইবান্ধায় ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রা বিরাজা করলেও গত সোমবার তা ৩৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাড়িয়েছে।

তীব্র গরমের মধ্যে বাতাসে আর্দ্রতা কমে গেছে। রাস্তায় বের হলে আগুনের হল্কা এসে গায়ে লাগছে। অতিরিক্ত গরমের কারনে প্রয়োজন ছাড়া দিনের বেলা কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। অবশ্য রাতে ঘরে ফিরেও স্বস্তিতে থাকার উপায় নেই। দফায় দফায় লোডশেডিংয়ে রাতেও ঘেমে ভিজে নাকাল হচ্ছে মানুষ।

গাইবান্ধার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সিজু মন্ডল জানান, রোববার সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ চলে যায়। তারাবিহ নামাজের সময় আরেক দফা গিয়েছে। রাত ২টা ২১ মিনিটে লোডশেডিং ছিলো এক ঘণ্টা। ভোর সাড়ে ৫টায় আবার লোডশেডিং শুরু হয়। এবারও বিদ্যুৎ ছিলো না এক ঘণ্টা। আজ (সোমবার) সকালেও বিদ্যুত ছিলো না। তিনি বলেন, প্রচন্ড গরমে ফ্যান চালিয়েও ঘরে থাকা যায় না। এর মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে মনে হয় ‘ভয়ঙ্কর আজাব’ শুরু হলো। মশার যন্ত্রণায় বাইরে বসে থাকারও উপায় নেই। এই কষ্ট বলে বোঝাতে পারবো না। 

রিকশাচালক মো. মাইনুর মিয়া বলেন, সূর্যের অনেক তাপ। রোদে সারা শরীর পুড়ে যায়। ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত আর বিকালে ৫টার পর থেকে গরম কিছুটা কম থাকে। সকাল ১০টার পর থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রচণ্ড তাপদাহ থাকে। মনে হয় যেন চামড়া জ্বলে যাচ্ছে। শরীর ঘেমে যায়। শরীর দূর্বল হয়ে আসে। রিক্সা চালাতে অনেক কষ্ট হয়। 

শহরের পলাশ পাড়া এলাকার বাসিন্দা মিলন খন্দকার বলেন, বাতাসে যেন আগুন উড়ছে। প্রচণ্ড গরম। গরমের সাথে ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এই গরমে বাইরে যেমন বের হওয়া যাচ্ছে না, তেমনই ঘরেও অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে। 

বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা রাসেল বলেন, একদিকে সিয়াম সাধনার মাস অন্যদিকে তীব্র তাপদাহ। কর্মব্যস্ততা শেষ করে যে বাসায় ফিরে কোথায় স্বস্তিতে থাকব, সেখানে দিনে ও মধ্যরাতে ঘনঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। এই গরমে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। 

গাইবান্ধা জেলা সিভিল সার্জন আ খ ম আক্তারুজ্জামান জানান, গরমে পানি স্বল্পতাসহ হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে। তাই তীব্র তাপদাহে শিশু, বৃদ্ধ ও রোজাদারদের খুব জরুরি কাজ ছাড়া বাহির বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এইচআর
 

Link copied!