সরিষাবাড়ীতে ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে শতবর্ষী পুকুর সংস্কার

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে শতবর্ষী অন্ধ পুকুরটি ময়লা-আর্বজনা ফেলার ভাগাড়ে পরিণত হয়। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় পুকুরটির বেশির ভাগই ভরাট হয়ে যায়। বেশ কিছু জায়গা স্থানীয় লোকজন দখলও করে নেয়। তবে সম্প্রতি ওই অন্ধ পুকুরটি সংস্কার ও খননের উদ্যোগ নেন ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। এতে স্থানীয় এলাকাবাসীর প্রসংশায় ভাসছেন চেয়ারম্যান।

জানা যায়,  উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের বাশুরিয়া মৌজার ১.৪০ একর ভূমিতে শত বছরের কালের স্বাক্ষী বহনকারী এ অন্ধ পুকুরটি। এখানে এক সময় সনাতন ধর্মালম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজার দেবীকে বির্সজন দেয়া হতো। 

স্থানীয় এলাকাবাসী নারী-পুরুষ বিভিন্ন বয়সীরা গোসল করাসহ গরু-মহিষ ও এলাকায় অগ্নী নির্বাপনের পানির উৎস ছিল এ পুকুরটি। কালের আর্বতে হারিয়ে যেতে বসে ছিল এ পুকুরটি।

বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলেও কেউ সুদৃষ্টি দেয়নি পুকুরটি রক্ষায়। বর্তমান পিংনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পিংনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ডা. নজরুল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ ইউপি সদস্যগণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চলছে পুকুরের পাড়, পুকুরের উত্তরপার্শ্বে ও দক্ষিণ পার্শ্বে দুটি ঘাটসহ পুকুরটি খনন কাজ। পুকুরটিতে মৎস্য চাষের উপযোগী হলে ইউনিয়ন পরিষদের আয় বৃদ্ধিসহ স্থানীয় ভাবে মাছের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের পাশে দাঁড়াবার এটি একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস বলে মন্তব্য করেছেন পিংনা ইউপি ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য খসরু মিয়া।  তিনি স্থানীয় জনগনের আন্তরিক সহযোগীতা ও সুদৃষ্টি কামনা করেন।

এ ব্যাপারে  পিংনা ইউনিয়নের পদ্মপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ জানান, নরপাড়া গ্রামের ভরাট প্রায় এ পুকুরটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করায় পিংনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. নজরুল ইসলামসহ ইউপি সদস্যগণকে স্বাগত জানাই। এ পুকুরটি সংস্কারের মাধ্যমে সচল করা হলে এটির ঐতিহ্য ফিরে পাবে এবং এলাকাবাসী উপকৃত হবে।

এআরএস