Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪,

বড় ভাইয়ের সনদ ও নাম ব্যবহার করে চাকরি করতেন ছোট ভাই!

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

জুন ১০, ২০২৩, ০৭:৪৩ পিএম


বড় ভাইয়ের সনদ ও নাম ব্যবহার করে চাকরি করতেন ছোট ভাই!

পুলিশ সদস্য বড় ভাই মোশারফ হোসেনের ডিগ্রী পাসের সনদ ও নাম ব্যবহার, জাতীয়পত্রে ছবি পরিবর্তনের মাধ্যমে তথ্য গোপন করে একটি প্রতিষ্ঠিত ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকুরি করতেন এসএসসি পাস ছোট ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৮)।

চাকুরিকালীন সময়ে চাকুরি দেয়ার কথা বলে এক বেকার যুবকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন ওই প্রতারক। প্রতারকের খপ্পরে পড়ে হয়রানীর শিকার হওয়া স্থানীয় যুবক মাহবুব আলমের আদালতে দায়েরকৃত মামলায় এ জালিয়াতির ঘটনাটি প্রকাশ পেয়েছে। জালিয়াতি মামলার আসামী আব্দুল্লাহ আল মামুন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর গ্রামে পঁচা দীঘি সংলগ্ন এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে- এসএসসি পাস আব্দুল্লাহ আল মামুন তার বড় ভাই পুলিশের এস আই মোশাররফ হোসেনের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও নাম ব্যবহার করে এবং জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি পরিবর্তন করে এসিআই ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সিলেট ডিপোতে চাকরি করতেন। তার কোড নং-এসডিজে-১৬। চাকরিকালীন সময়ে ভাল বেতনের চাকরি দেয়ার কথা বলে গৌরীপুর উপজেলার শালিহর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মারফত আলীর ছেলে মাহবুব আলমের কাছ থেকে ২০১৭ সনে পাঁচ লাখ হাতিয়ে নেন মামুন। টাকা নেয়ার পর মাহবুবকে চাকরি না দিয়ে উল্টো প্রতারনার ফাঁদে পেলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে প্রতারক মামুন।

মাহবুব জানান- প্রতারনা ও জালিয়াতির ঘটনায় আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট ৪নং আমলী আদালতে তিনি একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ আদালত এ মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছেন। পিবিআইয়ের তদন্তে ঘটনার সতত্যা মিলেছে বলে তিনি দাবি করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান- তিনি সিলেটের একটি শহর এলাকায় সিএনজি চালিত অটো রিক্সা চালান। তিনি কোনদিন এসিআই ফার্মাসিউটিকেল কোম্পানিতে চাকরি করেননি। মাহবুবের অভিযোগ মিথ্যা বলে তিনি দাবি করেন।

তবে আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাবা সিরাজুল ইসলাম জানান- তার ছেলে মামুন আগে সিলেটে এসিআই ফার্মাসিউটিকেল কোম্পানিতে চাকরি করতো, এখন করেনা।

আরএস

Link copied!