Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪,

অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পেল তদন্ত কমিটি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩, ০৫:৪৯ পিএম


অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পেল তদন্ত কমিটি

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা কর্মকর্তা আল আমিন ভুয়া প্রতিবন্ধীদের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।

জানা গেছে, ভুয়া হিসেবে ৬৮ জন শনাক্ত হলেও টাকা উত্তোলন করা হয়েছে ৪৮ জনের। ঘটনাটি জানাজানি হলে বাকি ২০ জনের টাকা উত্তোলনের বিষয়টি আটকে দেন জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক। এ বিষয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর দৈনিক আমার সংবাদে ‘সমাজসেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভাতা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ‍‍` শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে কিশোরগঞ্জ সদরের বৌলাই, কর্শাকড়িয়াইল, দানাপাটুলি, মহিনন্দ ও লতিবাবাদ ইউনিয়নের প্রকৃত প্রকৃত প্রতিবন্ধীদের তালিকা করেছিলেন সংশ্লিষ্ট ইউপির জনপ্রতিনিধিরা। তবে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল আমিন এমআইএস তালিকা থেকে ৬৮ জনের নাম সরিয়ে নতুন ৬৮ জনের নাম বসিয়ে তাদের নামে পে-রোল প্রেরণ করেন। নতুন ৬৮ জনের মধ্যে ৪৮ জনের ভাতা উত্তোলন দেখানো হলেও বাস্তবে তাদের ৫০০ টাকা করে দিয়ে বাকি ৯ হাজার ৭০০ টাকা করে মোট ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ টাকা তিনি নিজেই আত্মসাৎ করেছেন।

বিষয়টি নজরে এলে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান খান একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শহীদুল্লাহকে প্রধান এবং করিমগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল আলম ও নিকলী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আসিফ ইমতিয়াজ মনিরকে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অভিযোগের সত্যতা সাপেক্ষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান উপপরিচালক।

জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান খান জানান, সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়ে গত ২৮ আগস্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু তারা এখনও প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। আরো কিছুদিন সময় নিয়েছেন তারা।

এআরএস

Link copied!