Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪,

ফুটপাত জুড়ে শীতের কাপড়ের পসরা, ক্রেতাদের ভিড়

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩, ১২:৩১ পিএম


ফুটপাত জুড়ে শীতের কাপড়ের পসরা, ক্রেতাদের ভিড়

সারাদেশের গ্রামাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ঠান্ডা কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। এরই মাঝে বাড়তে শুরু করছে শীতের কাপড়ের কদর। আর এই কাপড় সংগ্রহ করতে ইতোমধ্যেই ফুটপাতে ভিড় জমাচ্ছে নিম্ন আয়ের ক্রেতা সাধারণ। সম্প্রতি গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়ছে।

গাজীপুরের জয়দেবপুর, চান্দনা চৌরাস্তা, মাওনা চৌরাস্তা, বরমী বাজারসহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিশাল ফুটপাত জুড়েই শীতের কাপড়ের পসরা সাজিয়েছে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা। সেখানে মানুষের দীর্ঘ লাইন। বিভিন্ন শপিংমলের সামনে সড়কের দু’পাশে ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ফুটপাতগুলোতে শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। গাজীপুরে শীত জেঁকে বসায় কদর বেড়েছে শীতের কাপড়ের। এছাড়া বিলাসবহুল অভিজাত মার্কেটগুলোতেও গরম পোশাক বিকিকিনি জমে ওঠেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, পুরো নগরজুড়ে ছোট ছোট মার্কেট ও ফুটপাতে শীতের পোশাকের বেচা-কেনা উৎসবে পরিণত হয়েছে। এদিকে, হকার্স মার্কেটের দু’পাশে অনেক নতুন পোশাকের দোকানে সাজানো রয়েছে সব বয়সী মানুষের নতুন শীতের পোশাক। সব বয়সের নারী-পুরুষের জ্যাকেট, ট্রাউজার, কার্ডিগ্যান, স্যুট, ব্লেজার, টাই, চাদর, শাল, কম্বল, শীতটুপি, মাফলার, উলের ফুলহাতা ও হাফহাতা জামা, জুতা ও মোজাসহ শীতবস্ত্রে দোকানগুলো ঠাসা।

ফুটপাতগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে কানটুপি, মাফলার, হাত-পায়ের মোজা, গায়ের সোয়েটার, জ্যাকেট ইত্যাদি। গরীবের মার্কেট খ্যাত এসব বাজারে শীত কাপড়ের মূল্য একদম কম বললেও চলে। এর মধ্যে কানটুপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, মাফলার প্রতিটি ৩০ থেকে ৬০ টাকা, হাত-পায়ের মোজা প্রতি জোড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা, পুরুষের সোয়েটার ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, মহিলা সোয়েটারের ২০০ থেকে ৩০০টাকা, জ্যাকেট ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, চাদর ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলে। তবে সন্ধ্যায় কাষ্টমারের উপচেপড়া ভিড় থাকে।

বরমী বাজার এলাকার ফুটপাতের ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন আমার সংবাদকে বলেন, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতাই বেশি। অসহায় শীতার্ত মানুষও কম দামে শীতবস্ত্র ক্রয় করছেন।

মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় ফুটপাতের বাজার করতে আসা রিকশাচালক আবুল হোসেন বলেন, শীতে ঠান্ডায় পরিবারের লোকজন কষ্ট পাচ্ছে। নিরুপায় হয়ে গরম কাপড় কিনতে হচ্ছে। দাম একটু বেশিই নেওয়া হচ্ছে। শীত যতই বাড়ছে, ততই বাহারি শীতের পোশাক বাজারে উঠছে।

আরেক ক্রেতা সাইদুল ইসলাম বলেন, শীতের পোশাক কিনতে এসে দেখছি ক্রেতা বেড়েছে। বেড়েছে দোকানদার ও পোশাকের দামও।

জয়দেবপুর ফুটপাতের ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান বলেন, এ মৌসুমকে ঘিরে চাহিদা অনুযায়ী আমরা পোশাক সরবরাহ করি। নিম্নআয়ের মানুষরা খুব অল্প দামে শীত কাপড় কিনতে পেরে খুশী হয়।

এআরএস

Link copied!