ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

ফরিদগঞ্জে হাত পায়ের রগ কেটে বিউটিশিয়ানকে হত্যা

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

জানুয়ারি ১৮, ২০২৪, ০৯:৫৮ এএম

ফরিদগঞ্জে হাত পায়ের রগ কেটে বিউটিশিয়ানকে হত্যা
ছবি: ফাইল

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রী বিউটিশিয়ান মমতাজ বেগম রিক্তা(৩৫)কে ২ হাত ও  ২ পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর কম্বল পেঁচিয়ে ঘরের ভেতর টয়লেটে রেখে দেওয়া হয়। সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমান্দারি এলাকার ভোলা বেপারি বাড়িতে নিজ বসত ঘর এ ঘটনা ঘটে। রিক্তা ভোলা বেপারি বাড়ির মৃত এমদাদ উল্লাহর ছোট মেয়ে।

জানা যায়, রিক্তা স্থানীয় গৃদকালিন্দিয়া বাজারের বধূবরণ বিউটি পার্লারের স্বত্বাধিকারী। প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে ফিরেন। স্বামী প্রবাসে এবং তার কোন সন্তান না থাকায় মৃত বোন মুক্তার একমাত্র ছেলে বাপ্পি (১৮) কে নিয়ে বসবাস করতেন। বাপ্পি গৃদকালিন্দিয়া বাজারে একটি দোকানে মোবাইল দোকানে মোবাইলের মেরামতের কাজ শিখছে। রাত ৮ টার দিকে সে বাড়ি ফিরে তার খালা রিক্তাকে ঘরে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে। পরে ঘরের মেঝেতে রক্ত দেখে বাড়ির লোকজনকে বিষয়টি জানায় এবং বাড়ির লোকজনসহ ঘরে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে রিক্তার চাচাতো ভাই মাহফুজুর রহমানের মেয়ে ঐশী আক্তার তার মা ও বাপ্পিসহ ঘরে প্রবেশ করে বহু খোঁজাখুঁজি করার পর টয়লেটের ভেতরে কম্বল মোড়ানো অবস্থায় রক্তাক্ত মৃত দেহ দেখতে পায়। এ ঘটনা ঐশী তার বাবা মাহফুজুর রহমানকে জানালে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা (৯৯৯) ফোন করে পুলিশকে অবহিত করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ রিক্তার ২ হাত ও ২ পায়ের রগ কাটা লাশ উদ্ধার করে।

রিক্তার বোনের ছেলে বাপ্পি জানায়, আমার জন্মের পর মা মারা যাওয়ার পর এই খালার কাছেই বড় হয়েছি। আজ সন্ধ্যা ৬ টার সময় খালামনিকে দেখেছি বাজার থেকে পুরি নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছে। আমি রাত ৮ টার সময় বাজার থেকে বাড়িতে এসে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। খালাকে অনেকক্ষণ ডাকা ডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজার লক মোড়া দিলেই দরজা খুলে যায়। এসময় বিদ্যুৎ ছিল না। ঘরে প্রবেশ করে দেখি ঘরের মেঝেতে খালার বোরখায় রক্ত মাখা‌। আমি চিৎকার করে পাশের ঘরের মাহফুজ মামার স্ত্রী লাকি মামানিকে ডেকে আনি। পরে ওই মামানি ও তার মেয়ে ঐশীসহ ঘরে ভেতরে খুঁজে না পেয়ে টয়লেটের দরজা খুলে দেখে আমার খালা মনি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

একই বাড়ির মাহফুজুর রহমান জুয়েল জানান, এই ঘটনা দেখেই আমি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে জানাই। রিক্তা আমার চাচাতো বোন। আমার জেঠা ও জেঠি মারা যাওয়ার পর থেকেই বাবার বাড়িতে থাকে। তিনি আরো জানান, গত প্রায় দশ বছর পূর্বে চট্টগ্রামে রিক্তার বিয়ে হয়েছে। রিক্তার স্বামী রাকিবুল হাসান দুবাই প্রবাসী। গত দুই মাস পূর্বেও সে ছুটি কাটিয়ে গেছে। রিক্তার কোন সন্তান নেই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ূন কবির জানান, রিক্তা আমার চাচাতো বোন। রাতে ৮টা ৫৭ মিনিটের সময় একই বাড়ির ইসমাইল মাষ্টার ফোন করে জানিয়েছেন রিক্তাকে কারা কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এই ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি। তিনি আরো বলেন, আমি এই হত্যাকাণ্ডে হত্যাকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

রিক্তার মামা মো. আমিনুর রহিম পাটওয়ারী জানান, আমার বাড়ি রায়পুর উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকার আলা বক্স পাটওয়ারী বাড়ি। আমার ভাগ্নি রিক্তা খুন হওয়ার ঘটনা শুনে এসেছি। তিনি আরো জানান, ১০-১২ দিন পূর্বে আমার বাড়িতে গিয়ে বলেছে তার ভাই মালেক ও তার ছেলে মেহেদী হাসান এবং ভাবী শিউলি রিক্তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আর এখন রিক্তা ঘরেই খুন হয়েছে। আমি আমার ভাগ্নির খুনের বিচার চাই।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার তদন্ত (ওসি) প্রদীপ মন্ডল জানান, খুনের বিষয়ে মাহফুজুর রহমান নামক ব্যক্তি জাতীয় জরুরী সেবা (৯৯৯) ফোন করে। তাৎক্ষণিক আমরা ঘটনাস্থলে এসে মমতাজ বেগম রিক্তার লাশ উদ্ধার করেছি। এটি একটি হত্যা এবং এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

জনা যায়, জিজ্ঞাসাবাদ করা জন্য মমতাজ বেগম রিক্তার ভাতিজা মেহেদী হাসান ও ভাগিনা বাপ্পিকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। রিক্তার লাশ রাত ২ টার সময় ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

হত্যার সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ - ফরিদগঞ্জ) সার্কেল পঙ্কজ কুমার দে রাত ১২টায় ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।

এআরএস

Link copied!