ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

পিঠে বড়শি গেঁথে শূন্যে ঘুরলো ৬ সন্ন্যাসী

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

এপ্রিল ১৬, ২০২৪, ০৬:০১ পিএম

পিঠে বড়শি গেঁথে শূন্যে ঘুরলো ৬ সন্ন্যাসী

বড়শিতে গাথা জ্যান্ত তাজা মানুষ। চড়ক গাছে ঝুলিয়ে প্রায় ২৫/৩০ ফুট শূন্যে ঘুরাতে ঘুরাতে সন্ন্যাসী মনা কর্মকার ছুড়ে দিচ্ছেন বাতাসা। শুধু মনা নয় একে একে ৬ সন্ন্যাসীর পিঠে বড়শি বিঁধে শূন্যে ঘুরে পালন করলেন শিব পূজার অংশ চড়ক উৎসব। গাঁ শিউরে ওঠা এই দৃশ্য দেখলেন প্রায় ২০ হাজার নারী- পুরুষ। ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর বাজারের বকুলতলায় প্রতি বছরের ন্যায়  সোমবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে চড়ক উৎসবটি।

মহেশপুর শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমের একটি গ্রাম ফতেপুরের বকুলতলা বাজার। এ গ্রামের বকুলতলা বাজারে ভারতীয় পঞ্জিকা মতে ২ বৈশাখ অনুষ্ঠিত হয় চড়ক পূজাটি। হিন্দু ধর্মবাদীরা উৎসব আয়োজনে এ পূজা করে থাকেন। প্রতি বছর এই পূজার মূল আকর্ষণ থাকে ৬/৭ জন সন্ন্যাসীর পিঠে বড়শিবিদ্ধ হয়ে শূন্যে ঘোরা। এবার এক জন সন্ন্যাসী অসুস্থ থাকার কারণে ৬ জন সন্ন্যাসী বড়শি (বান) ফোড়ালেন ।

স্থানীয়রা জানায়, প্রায় দুই শো’ বছর ধরে চলে আসছে এ চড়ক পূজা। আর এ পূজাকে ঘিরে বকুলতলা বাজারে ২ দিন ধরে চলে বর্ণাঢ্য লোকজ মেলা।

ফতেপুরের এ চড়ক মেলার মূল আকর্ষণ বড়শিবিদ্ধ হয়ে শূন্যে ঘোরানো (স্থানীয় ভাষায় বলা হয় বান ফুঁড়ানো) এ দৃশ্য অবলোকনের সাথে সাথে মেলায় কেনাকাটা করতে সোমবার সকাল থেকে হাজির হয় প্রায় ২০ হাজার নারী-পুরুষ। দুপুরের পর থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে মেলা প্রাঙ্গণে। বিকালের মধ্যে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় পুরো এলাকাজুড়ে। চারিদিকে সাজ সাজ রব। পুরো এলাকা জুড়ে উৎসবের আমেজ।

স্থানীয়রা জানান, আগে শুধুমাত্র পিঠে বান ফুড়িয়েই ঝুলিয়ে দেওয়া হতো চড়ক গাছে। আর সে অবস্থাতেই ঘোরানো হতো। প্রায় ১শ’ ১৫ বছর পূর্বে এক সন্ন্যাসীর পিঠের চামড়া ছিড়ে পড়ে আহত হওয়ার কারণে বড়শির উপর এখন গামছা পেঁচিয়ে দেওয়া হয়।

সন্ন্যাসী বিল্পব কর্মকার জানান, শিব ঠাকুরের সন্তুষ্টির জন্যই তারা প্রতি বছর চড়ক গাছে চড়ে থাকেন। তিনি আরো জানান, শরীরে বড়শি বিঁধার ফলে বড় ধরনের ক্ষতের সৃষ্টি হলেও সামান্যই রক্ত বের হয়। কিন্তু এর জন্য কোনো ঔষধ লাগে না তাদের। চড়ক গাছ থেকে নামিয়ে গাছের গোড়ায় থাকা সিঁদুর টিপে দিলেই হয়।

সন্ন্যাসীরা জানান, পূর্ব পুরুষদের কাছে শুনেছেন দু’শ বছর আগে এখানে চড়ক পূজা শুরু হয়। আগে কপোতাক্ষ নদের পাড়ে এ পুজার আয়োজন করা হতো। সেই স্থানে সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্প গড়ে তোলার কারণে এখন ফতেপুর বকুলতলার বাজারে চড়ক পূজা হয়। এ পূজাকে ঘিরে বসে জমজমাট মেলা। লোকজ ঐতিহ্যের হরেক রকম পসরা সাজিয়ে দোকানিরা বেচাকেনা করেন ২ দিন ধরে।

মিষ্টির দোকানি মোসলেম আলী (৫৩) ১০/১২ রকমের মিষ্টি সাজিয়ে বিকিনিকি করছেন। তিনি এবার ১৫ বারের মত মেলায় আসলেও বেচাকেনা বেশ ভালোই হচ্ছে বলে জানান। কুষ্টিয়ার একতারপুরের সাখা সিঁদুর বিক্রেতা বিমল সরকারও বিকিনিকি করছেন তার পণ্য সম্ভার।

পূজা ও মেলা কমিটির সভাপতি সাধন কুমার ঘোষ  ও সাধারণ সম্পাদক সুবোল কর্মকার জানান, চড়ক পূজা  মূলত শিব পূজার অংশ বিশেষ। নানা আনুষ্ঠানিকতায় তা সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।  

ইএইচ

Link copied!