ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

সংস্কারের অভাবে সড়কের বেহাল দশা

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

এপ্রিল ২২, ২০২৪, ১২:১৬ পিএম

সংস্কারের অভাবে সড়কের বেহাল দশা

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ১১নং ফতেপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন সংস্কার না করার কারণে মহাকবি আলাওল সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কার্পেটিং ও ইটের খোয়া উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ।

পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায় সড়কের অধিকাংশ এলাকা। খানাখন্দে জমে থাকে বৃষ্টির পানি। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসী ও পথচারীদের।

একপ্রকার বাধ্য হয়ে সড়কটিতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ইঞ্জিন চালিত বিভিন্ন গাড়ি। এতে প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ, বিকল যন্ত্রপাতি পরিবর্তন করতে মোটা অঙ্কের টাকা যাচ্ছে গাড়ির মালিক ও চালকদের।

সড়কটির ভবানীপুর রাস্তার মাথা থেকে গুড়াচান মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত গাড়িতে চরে গেলে সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে যায়। আলাওল জামে মসজিদের সামনে, আমির শাহ ফকিরের মাজার গেইট, বাদশাহ নিবাস, সিপাহির বাড়ি, ছড়ারকুল, আশা কলোনি ও জসিম কলোনি এলাকাজুড়ে সড়কের বেহালদশা। সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তগুলোতে সৃষ্টি হয় জলজট, তার ওপর যান চলাচল করতে করতে একপর্যায় সৃষ্টি হয় বড় বড় খানাখন্দ। পর্যায়ক্রমে বড় হতে থাকে গর্তগুলো।

জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে উপজেলা ফতেপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ছাড়াও মেখল, গড়দুয়ারা ও মাদার্শা ইউনিয়নের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, ছাত্রছাত্রীসহ অনেকেই এই সড়কটি ব্যবহার করে থাকেন।

স্থানীয়রা বলেন, বর্ষা মৌসুমে চাষাবাদে ব্যবহৃত ট্রাক্টরগুলো লোহার চাকা লাগিয়ে সড়কে চলাচল করার কারণে মূলত সড়কের এই অবস্থা। কারণ বর্ষাকালে সড়কের কার্পেটিং নরম হয়ে যায়। তাছাড়া সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা, সবার ভাগ্য পরিবর্তন হলেও এই সড়কের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি। সড়কের এই অবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের যাতায়াত খুবই কষ্টকর। সড়কের কারণে জরুরি সেবার কোন গাড়ি সময়মতো আসতে পারে না। এমনকি অন্যান্য এলাকা থেকে এই এলাকায় কোনো গাড়ি রিজার্ভ আসতে চায় না।

স্থানীয় সিএনজি চালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা বলেন, আমরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাই, সারাদিন গাড়ি চালিয়ে রাতে যখন ঘরে যায় তখন সমস্ত শরীরে ব্যথা লাগে। ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে গাড়ি চালালে অনেক ঝাঁকুনি খেতে হয়। যার কারণে প্রতিদিন ব্যথা বা জ্বরের ওষুধ সেবন করতে হয়।

এছাড়া সপ্তাহে দু-একবার গাড়ি গ্যারেজে নিয়ে মিস্ত্রির শরণাপন্ন হতে হয়। বারবার করতে হয় মেরামত, পাল্টাতে হয় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। এতে খরচ হয় মোটা অঙ্কের টাকা। তাছাড়া কোন অসুস্থ লোক বা প্রসূতি মহিলা নিয়ে হাসপাতালে কিংবা ডাক্তারের কাছে যাওয়া খুবই মুশকিল হয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়কটির প্রাক্কলন প্রস্তুতি চলছে বলে জানান উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে।

তিনি আরও বলেন, সড়কটির অবস্থা খুব খারাপ, প্রায় ১০ বছর আগে সংস্কার করা হয়েছিল।

ইএইচ

Link copied!