Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪,

চরফ্যাশনে সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড় দুর্ভোগে জনসাধারণ

ভোলা প্রতিনিধি

ভোলা প্রতিনিধি

এপ্রিল ২২, ২০২৪, ০৬:২৮ পিএম


চরফ্যাশনে সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড় দুর্ভোগে জনসাধারণ

জেলার সর্বদক্ষিণের উপজেলা চরফ্যাশনের প্রবেশদ্বারে ভোলা -চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের চরফ্যাশন বাসস্ট্যান্ডের পাশেই  দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে, এতে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রী,স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী  ও স্থানীয় বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বাস স্ট্যান্ডের পাশেই  ময়লার ভাগাড় ঘুরে দেখা যায় সড়কের পাশ দিয়ে যানবাহন দিয়ে যাত্রীরা আসা-যাওয়ার সময়ে মুখ চেপে অতিবাহিত করছেন।ময়লার ভাগাড়ে কুকুর আর কাকের দৌঁড়ঝাঁপে দুর্গন্ধে দৃষ্টিনন্দন উপজেলায়  পৌঁছাতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ময়লার ভাগাড় পার করে শিক্ষার্থীদের যেতে হচ্ছে স্কুল কলেজ মাদ্রাসায়, শিক্ষার্থীরা নাকমুখে কাপড় চেপে স্কুলে আসা-যাওয়া করছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে ময়লা-আবর্জনায় রাস্তার উপরে উচু স্তূপে পরিণত হয়েছে। এনিয়ে জনদুর্ভোগের বিষয়ে গতবছর  স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশিত হলেও কার্যকরী কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এখনো পর্যন্ত।

এ মহাসড়কে নিয়মিত চলাচলকারী বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা মো. সবুজ জানান ময়লার স্তূপ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ।

আমরা যারা এ পথে প্রতিনিয়ত  আসা যাওয়া করি রাস্তার পাশে ময়লার স্তূপ থেকে উৎকট গন্ধের কারণে অস্বস্তিতে পরতে হচ্ছে।

বাসস্ট্যান্ডের পাশে চায়ের দোকান করা  মো. সিরাজউল  জানান দীর্ঘদিন থেকে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা পৌরবাজারের ময়লা-আবর্জনা এনে এ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ফেলে ভাগাড় বানিয়ে ফেলছে, জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘবে দেখার কেউ নেই।

নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা জানান এনিয়ে জনদুর্ভোগের বিষয়ে গতবছর  স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশিত হলেও কার্যকরী কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এখনো পর্যন্ত, পৌর মেয়র মো. মোরশেদ কে ময়লা অপসারণ করে ডাম্পিং স্টেশনের জন্য কয়েকদফা বলা হলেও তিনি এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেননি বলেও জানান তারা।

চরফ্যাশন সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভন বসাক মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান ময়লা-আবর্জনা থেকে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি আশঙ্কা রয়েছে, এর মধ্যে হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট,  ময়লার ভাগাড়ে লাগানো আগুন থেকে, হেপাটাইটিস বি  সহ স্থায়ীভাবে ময়লা ফেলার কারণে বিভিন্ন কুকুর এবং বিভিন্ন জীবজন্তুর আনাগোনায় বড় ধরনের মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারে নিয়মিত চলাচলকারী জনসাধারণ।

এদিকে পৌর মেয়র মো. মোরশেদ এর মুঠোফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি, এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি আর ফোন ব্যাক করেননি।

এ বিষয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক, উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) এবং উপ-পরিচালক (অতিঃ দায়িত্ব), স্থানীয় সরকার, মোহাম্মদ কায়সার খসরু  আমার সংবাদকে জানান, আমি নতুন জয়েন করেছি তাই বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না, তবে আমি সরজমিনে গিয়ে দেখে সংশ্লিষ্টদের কে নির্দেশনা দিব

এবং জনস্বার্থে কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যায় কিংবা অন্য কোথাও ময়লার ভাগাড়টি  সরিয়ে না যায় কিনা সে বিষয় সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলবো।  

আরএস

Link copied!