ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

জলঢাকায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ; সঠিক তদন্ত চায় শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ০৫:০০ পিএম

জলঢাকায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ; সঠিক তদন্ত চায় শিক্ষার্থীরা

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার টেংগনমারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যার সঠিক তদন্ত চায় বিদ্যালয়টির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ওই বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জি আর সারোয়ারের নিকট একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন কয়েকজন সাবেক শিক্ষার্থী।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, "আমরা টেংগনমারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীবৃন্দ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগ শুনতে পাই। তাই জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে দুর্নীতি মুক্ত করার একটি পদক্ষেপ হিসেবে টেংগনমারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো তদন্ত সাপেক্ষে পদত্যাগ সহ উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।"

প্রধান শিক্ষক আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো হচ্ছে -

১. প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা উৎকোচ দিয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান এবং প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিণত করা।

২. অপ্রয়োজনীয় ভাবে স্কুলে ২য় শিফট চালু করে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য (সহকারী প্রধান শিক্ষক ১ জন,সহকারী শিক্ষক ১৫-২০ জন, ভোকেশনাল ৮-১০ জন, কর্মচারী নিয়োগ ৫-৮ জন)।

৩. স্কুল মার্কেটের এক কালীন জামানত ও মাসিক ভাড়া আত্মসাৎ (জামানত বাবদ আনুমানিক ১ কোটি টাকা এবং মাসিক ভাড়া প্রায় পঞ্চাশ হাজার)।

৪. করোনাকালীন প্রণোদনা বাবদ ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ।

৫. শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ ।

৬. স্কুলের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সংরক্ষণ করা।

৭. কম্পিউটার ল্যাবের টাকা আত্মসাৎ।

৮. বছরের শুরুতে পুন: ভর্তি বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায়।

৯. স্কুল মার্কেটের কিছু দোকান ফ্যাসিবাদের দালালদের বিনামূল্যে দিয়ে অবৈধ সুবিধাভোগ।

১০. বৈধ উৎস না থাকা সত্ত্বেও গাড়ি, বাড়িসহ অঢেল সম্পত্তির মালিক।

১১. স্কুলের গাছপালা সহ স্থাবর সম্পত্তি বিক্রির অর্থ আত্মসাৎ।

১২. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুণগত মান নিশ্চিত না করে কোচিং বাণিজ্যকে সহায়তা করা।

১৩. ফ্যাসিবাদীদের দোসর ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে সখ্যতা করে ,অন্যান্য শিক্ষকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা। এবং

১৪. সকল অপকর্মের সদস্য সচিব।

অভিযোগপত্র গ্রহণ করার পর ইউএনও জি আর সারোয়ার জানান, " আশিকুর রহমানকে অল্প সময়ের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানসহ সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে উপর্যুক্ত বিচারের মুখোমুখি করা হবে।"

সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মাছুম, গোলাম আযম, ডা:হাবিবুল্লাহ খান এবং ওয়ালিউল্লাহসহ আরও অনেকে।

আরএস

Link copied!