ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

বিয়ে বাড়িতে বরকে গণধোলাই, আগুনে পুড়ল শেরওয়ানি

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

এপ্রিল ৪, ২০২৫, ১২:০৪ এএম

বিয়ে বাড়িতে বরকে গণধোলাই, আগুনে পুড়ল শেরওয়ানি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিজের বিয়ে ভাঙতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন শরীফ মাহমুদ নামে এক ছাত্রলীগ নেতা। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তার বিয়ের শেরওয়ানি আগুনে পুড়িয়ে দেয় এবং চেকে স্বাক্ষর রেখে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বাবুল হোসেন খান।

এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের কটামারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা শরীফ মাহমুদ উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের উত্তর পেকুয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

জানা যায়, এক বছর আগে পারিবারিকভাবে শরীফ মাহমুদের বিয়ের সিদ্ধান্ত হয় এবং দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রিও সম্পন্ন হয়। তবে শরীফ মাহমুদের অন্য এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় তিনি বিয়ে এড়ানোর নানা ফন্দি আঁটতে থাকেন।

নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী, বুধবার (২ এপ্রিল) শরীফ মাহমুদের বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয়। দুপুরে বরযাত্রীরা কনের বাড়িতে পৌঁছায় এবং বরপক্ষ খাবারও গ্রহণ করে। কিন্তু বরপক্ষের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে কনে পক্ষের একজন বিষয়টি পরিবারের অন্যদের জানান। পরে বিয়ে বাড়িতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয়রা বরসহ কয়েকজনকে আটকে রেখে গণধোলাই দেন।

বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বর শরীফ মাহমুদের পরনের শেরওয়ানি খুলে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।

পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও দুই পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে সালিশ বসেন। উভয় পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে বিয়ে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। দেনমোহর ও খোরপোষ বাবদ কনেকে ৯ লাখ টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য ১৮ লাখ টাকার একটি চেকে শরীফ মাহমুদের বাবা সাইফুল ইসলামের স্বাক্ষর রাখা হয়। ৯ লাখ টাকা পরিশোধের পর চেকটি ফেরত দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

মুচলেকা দেওয়ার পর ছাত্রলীগ নেতা শরীফ মাহমুদকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কনের বাবা বলেন, "আমার মেয়ের সঙ্গে যা ঘটেছে, তাতে আমরা খুবই মর্মাহত। এমন ঘটনা যেন আর কারো সঙ্গে না ঘটে।"

ইএইচ

Link copied!