ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

মধুপুরে আলোচিত শিশু বিক্রির রহস্য উদঘাটন

আ. হামিদ, মধুপুর (টাঙ্গাইল)

আ. হামিদ, মধুপুর (টাঙ্গাইল)

এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ০৩:১৮ পিএম

মধুপুরে আলোচিত শিশু বিক্রির রহস্য উদঘাটন

টাঙ্গাইলের মধুপুরে আলোচিত শিশু বিক্রির রহস্য উদঘাটন করেছে মধুপুর থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল কবীর রুবেলের দিকনির্দেশনায় ও তদন্ত ওসি মো. রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে ভুঞাপুর এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে বিক্রি হওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

অভিযানে শিশুটিকে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া দম্পতিকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

শিশুটিকে উদ্ধার করে মধুপুর থানায় আনার পর তার মা লাবনী আক্তার একে একে ফাঁস করেন চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য।

লাবনী জানান, দুই বছর আগে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের মাধ্যমে তিনি বিয়ে করেন রবিউল ইসলামকে। চার মাস আগে তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, তার স্বামী কোনো কাজ না করায় প্রায়ই না খেয়ে থাকতে হতো, এবং এ নিয়ে প্রতিদিন ঝগড়া হতো। এই পরিস্থিতিতে, গত বৃহস্পতিবার লাবনী তার চার মাস বয়সী শিশুকে নিয়ে বোনের বাড়ি ভুঞাপুরে যান। সেখানে তার পরকীয়া প্রেমিক সজীব ও এক দম্পতির সঙ্গে আগেই ৪৫ হাজার টাকায় শিশুটিকে বিক্রির চুক্তি হয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, শিশুটিকে সেই দম্পতির হাতে তুলে দিয়ে সজীব দ্রুত সরে পড়ে। পরে সজীব ২০ হাজার টাকা গোপনে নিয়ে দোকানে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যায়। এতে লাবনী দিশেহারা হয়ে পড়ে। সব হারিয়ে যখন সে তার স্বামী রবিউলের কাছে ফিরে যায় এবং সন্তানের বিষয়টি জানায়, তখনই পুরো ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়।

মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবীর রুবেল জানান, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ঘটনাটি জানার পর শিশুর মা লাবনী আক্তারকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি স্বীকার করেন, ভুয়াপুরে ৪০ হাজার টাকায় তিনি তার সন্তানকে বিক্রি করেছেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশুটিকে উদ্ধার করে বর্তমানে থানায় তার মায়ের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, ঘটনার পূর্ণ তদন্ত শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সমঝোতার বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে।

ইএইচ

Link copied!