Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ০৬ মে, ২০২৫,

পদ্মার ভাঙনে হুমকিতে তীরবর্তী এলাকা, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি:

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি:

মে ৬, ২০২৫, ০৩:২৭ পিএম


পদ্মার ভাঙনে হুমকিতে তীরবর্তী এলাকা, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদী তীরবর্তী এলাকায় ভয়াবহ নদীভাঙন শুরু হয়েছে। শুকনা মৌসুমে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চললেও বর্ষার আগে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না হলে পুরো অঞ্চল হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, মরিচা ইউনিয়নের হাটখোলা থেকে ভূরকা পর্যন্ত মাত্র এক কিলোমিটার এলাকায় জিওব্যাগ ফেলার কাজ চলছে। দুটি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ লাখ ৩৫ হাজার জিওব্যাগ ফেলা হবে। কিন্তু ভাঙনের কবলে পড়া মোট চার কিলোমিটার এলাকার বাকি তিন কিলোমিটারে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা আবেদ আলী বলেন, ‘আগে বাড়ি থেকে আবাদি জমিতে যেতে পাঁচ কিলোমিটার হাঁটতে হতো। এখন পদ্মা এতটাই কাছাকাছি চলে এসেছে যে দুই মিনিটেই নদীর পাড়ে পৌঁছে যাই। চোখের সামনে ফসলি জমি চলে গেছে নদীতে। এখন বসতভিটা নিয়েও শঙ্কায় আছি।’

ভাঙনকবলিত এলাকায় রয়েছে স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ একাধিক সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। নদীর পাড় থেকে মাত্র ৩০ মিটার দূরে রয়েছে একটি বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধও।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা ইদ্রিস আলী বলেন, ‘ভাঙনের মাত্রা বাড়লে এবার বর্ষায় বাঁধটাও নদীগর্ভে চলে যেতে পারে।’ সুইট আহমেদ নামের আরেকজন বলেন, ‘সাময়িক উদ্যোগে কিছুটা উপকার হলেও স্থায়ী বাঁধ না হলে সমস্যার সমাধান হবে না।’

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘এক কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। বাকি তিন কিলোমিটার এলাকাও যাতে সুরক্ষিত থাকে, সে জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ নিয়েও আলোচনা চলছে।’

বিআরইউ

Link copied!