আব্দুল্লাহ আল আমীন, ময়মনসিংহ
মে ৬, ২০২৫, ০৪:১১ পিএম
আব্দুল্লাহ আল আমীন, ময়মনসিংহ
মে ৬, ২০২৫, ০৪:১১ পিএম
চলতি বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহের চিত্র পাল্টে দিয়েছে ‘কৃষকের অ্যাপ’। প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকদের সরাসরি সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করার সুবিধা পেয়েছেন। ময়মনসিংহ বিভাগের ৩৩টি উপজেলায় এই অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা কৃষকদের জন্য সহজ এবং স্বচ্ছ লেনদেন নিশ্চিত করছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত খাদ্যশস্য সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভায় এ তথ্য জানান ময়মনসিংহ আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু নঈম মোহাম্মদ সফিউল আলম।
সভায় সভাপতিত্ব করেন, ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘কৃষকদের যাতে মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে প্রতারণার শিকার না হতে হয়, সেজন্য সরাসরি সরকারি গুদামে ধান বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, ‘আর্দ্রতা পরিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমে সঠিক আর্দ্রতায় ধান সংগ্রহ করা হলে গুনগত মান বজায় থাকবে, যা কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করবে।’
এ বছর ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ধান, চাল ও গম সংগ্রহ কার্যক্রমে সরকার নির্ধারিত মূল্য রয়েছে—প্রতি কেজি ধান ৩৬ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৯ টাকা, এবং গম ৩৬ টাকা। আবু নঈম মোহাম্মদ সফিউল আলম জানান, ৩৩টি উপজেলায় ‘কৃষকের অ্যাপ’ ও ডিজিটাল চালকল ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার ব্যবহার করে ধান ও চাল সংগ্রহ চলছে। এতে ক্রয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বাড়ছে এবং কৃষকরা তাদের ধান নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারছেন। তবে, ‘মাঠ পর্যায়ে পর্যাপ্ত গুদাম স্থান না থাকায় দেড় লক্ষ টন ধান বিভাগীয় গুদামের বাইরে অন্য জায়গায় জমা করা হতে পারে।’
সভায় বক্তারা জানায়, এ প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকরা প্রতারিত হওয়া থেকে রক্ষা পাচ্ছেন এবং পরিবহন খরচও সাশ্রয় হচ্ছে। তবে, গমের সংগ্রহ মূল্য বাজার মূল্যের চেয়ে কম হওয়ায় গম সংগ্রহে খুব বেশি সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
সভায় আরও জানানো হয়, কৃষকদের স্বার্থে কৃষিকার্ড প্রদানেও কোনো ধরনের হয়রানি যাতে না হয়, সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ বলেন, ‘সরকার কৃষকদের সাপোর্ট দেওয়ার জন্য ধান এবং চাল সংগ্রহ কার্যক্রম চালাচ্ছে। কৃষকদের যাতে কোনো ধরনের ক্ষতি না হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
বিআরইউ