দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
মে ১৭, ২০২৫, ০৮:২২ পিএম
রাজশাহীর দুর্গাপুরে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০০ বিঘা ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন। সাহসী পদক্ষেপের কারণে তিনি স্থানীয় কৃষকদের প্রশংসায় ভাসছেন।
শনিবার দুপুরের পর অবৈধ পুকুর খননের খবর পেয়ে ইউএনও ঘটনাস্থলে যান।
তাহেরপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর কার্ত্তিক শাহার অনুসারীরা প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করলেও ইউএনও তাদের বাধা দেন এবং পুকুর খনন কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে পুকুর থেকে খনন কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সরিয়ে নেওয়া হয়।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, উজালখলসী এলাকায় অবৈধ পুকুর খননের কারণে পাশের দুই গ্রাম বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার শিকার হবে। এতে শতশত হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর আগস্টে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাগমারা উপজেলার সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ছত্রছায়ায় তাহেরপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর কার্ত্তিক শাহা জোরপূর্বক উজালখলসী এলাকায় প্রায় ২০০ বিঘা জমি দখল নিয়ে পুকুর খনন কাজ শুরু করেন। এরপর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তারা পালিয়ে যান এবং দীর্ঘদিন খনন কাজ বন্ধ ছিল। সম্প্রতি আবারও অবৈধভাবে কাজ শুরু করায় কৃষকরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
উজালখলসী গ্রামের বাসিন্দা রহমান মিয়া বলেন, "আমার কিছু জমি পুকুরের মধ্যে পড়ে। আমাকে না জানিয়ে তারা আমার জমিতে পুকুর খনন শুরু করেছিল। তবে ইউএনও এসে তা বন্ধ করে দেয়ায় আমরা খুশি। পুকুর খননের কারণে পুরো গ্রাম বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার সম্মুখীন হবে।"
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সাবরিনা শারমিন বলেন, "উজালখলসী বিলে অনুমতি ছাড়া পুকুর খনন করা হচ্ছিল। আমি ও থানার ওসি অভিযান পরিচালনা করি। সেখানে অনেক লোক উপস্থিত ছিলেন। আমরা পুকুর খনন বন্ধ করে যন্ত্রপাতি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। অনেক লোকজন আমার কাছে বৈধ পদ্ধতিতে আবেদন করার অনুরোধও করেছেন, যার জন্য আমি তাদের সঠিক নিয়ম মেনে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছি।"
ইএইচ
