Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫,

বিদ্যুৎ নেই, বৃষ্টিতে টেবিলের নিচে বসে থাকেন পোস্ট মাস্টার

অজয় সরকার ঝুটন, কোনাবাড়ি

অজয় সরকার ঝুটন, কোনাবাড়ি

মে ১৯, ২০২৫, ০১:১৬ পিএম


বিদ্যুৎ নেই, বৃষ্টিতে টেবিলের নিচে বসে থাকেন পোস্ট মাস্টার

গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি বাইমাইল এলাকায় অবস্থিত সাব পোস্ট অফিসটি অব্যবস্থাপনা ও অবহেলায় ধ্বংসপ্রায় অবস্থায় রয়েছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৯ সালে কাসেম কটন মিলের জায়গায় স্থাপিত এ পোস্ট অফিসটির এখন নেই চালার টিন, নেই বিদ্যুৎ সংযোগ।

পোস্ট মাস্টার রইজ উদ্দিন জানান, তিনি গত তিন বছর ধরে এখানে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে অফিসে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ, নেই দরজার তালা কিংবা জানালার কাঁচ। এমন অবস্থায় তিনি কখনো গ্রাহকের বাসা থেকে চার্জ দিয়ে ডিভাইস চালান, আবার কখনো তীব্র গরমে বিদ্যুৎবিহীন অফিসে ঘাম ঝরিয়ে কাজ করেন।

“বৃষ্টি হলেই পোস্ট অফিসের ভেতরে পানি ঢুকে যায়, মেঝেতে জমে থাকে। টেবিলের নিচে বসে থাকতে হয়। মূল্যবান কাগজপত্র ভিজে নষ্ট হয়,”—এমনই কষ্টের কথা জানালেন পোস্ট মাস্টার রইজ।

অফিসটিতে লাইট ও পাখা থাকলেও বিদ্যুৎ না থাকায় সেগুলো ব্যবহার করা যায় না। দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ছে, ফাইলপত্র রাখতে নেই প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র—সব মিলিয়ে এক চরম দুরবস্থার মধ্যেই চলছে গুরুত্বপূর্ণ এই সরকারি দপ্তরটি।

স্থানীয়রা জানান, অফিসটির এমন জরাজীর্ণ অবস্থার সুযোগে এলাকাটি কিশোর গ্যাং ও মাদকসেবীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এখানে চলে মাদক সেবন। যদিও কোনাবাড়ি থানা একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে, তবুও স্থায়ী সমাধান মেলেনি।

কোনাবাড়ি থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, “সরকারি অব্যবস্থাপনার কারণে আজ এই পোস্ট অফিসের এমন দুরবস্থা। এতে করে সরকারি সেবার মানও ব্যাহত হচ্ছে।”

সাভার ডাক উপবিভাগের পোস্ট পরিদর্শক নাঈম খান বলেন, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে দ্রুতই পোস্ট অফিসটির সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, এই কোনাবাড়ি সাব পোস্ট অফিসের আওতায় ৬টি ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিস পরিচালিত হয়। অথচ কেন্দ্রীয় অফিসটির এমন ভগ্নদশার কারণে গুরুত্বপূর্ণ চিঠিপত্র ও ফাইল সংরক্ষণের মতো পরিবেশ নেই। অনেক সময় নিজেই প্রয়োজনীয় চিঠি খুঁজে পান না পোস্ট মাস্টার।

স্থানীয়রা দ্রুত পোস্ট অফিসটি সংস্কার ও আধুনিকায়নের দাবি জানিয়েছেন।

ইএইচ

Link copied!