নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া
মে ৩১, ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া
মে ৩১, ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
“তামাক কোম্পানির কুটকৌশল উন্মোচন করি, তামাক ও নিকোটিনমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় অবস্থান কর্মসূচি ও লিফলেট ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে কুষ্টিয়া কলেজ মোড়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, সাদিয়া হোমিও হেলথ কেয়ার এবং সাফ।
কর্মসূচি পরিচালনা করেন জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ও সাফের নির্বাহী পরিচালক মীর আব্দুর রাজ্জাক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া মহিলা কলেজের অধ্যাপক অজয় কুমার মিত্র এবং প্রধান আলোচক ছিলেন ডা. নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামসুল আলম, সাবেক ওসি মো. জাকির হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মালেক রানা, দাতা সদস্য রাসেল রানা এবং সমাজসেবক ফকির আলাউদ্দিন শাহ।
বক্তব্যে বক্তারা বলেন— তামাক একটি অনর্থক ও ক্ষতিকর ফসল, যা ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের জন্য মারাত্মক হুমকি। যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে তামাক এবং তামাকজাত দ্রব্য। তামাক কোম্পানির কৌশলে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ কোনো না কোনোভাবে জড়িয়ে পড়েছে। এ সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য দরকার সমন্বিত উদ্যোগ।
তারা আরও বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে শুধু আইন প্রণয়ন নয়, তার যথাযথ বাস্তবায়ন, কর বৃদ্ধি এবং নিয়মিত মনিটরিং প্রয়োজন। কুষ্টিয়া তামাক উৎপাদনের কারণে ‘তামাকের রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে, যা উদ্বেগজনক। তামাকের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হলেও পয়েন্ট অব সেলগুলোতে তা অব্যাহতভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে। নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধের কঠোর বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর বক্তারা জোর দেন।
তারা আরও সুপারিশ করেন, তামাক কোম্পানিগুলোতে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত এবং একটি শক্তিশালী তামাক করনীতি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
কর্মসূচি শেষে লিফলেট ক্যাম্পেইন ও স্টিকার বিতরণ করা হয়। পরে সাদিয়া হোমিও হেলথ কেয়ারে তামাক নেশা থেকে মুক্তির জন্য আগতদের পরামর্শ দেওয়া হয় এবং বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করা হয়।
ইএইচ