Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫,

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ধীরগতি, ২৫ কিলোমিটারে যানবাহনের দীর্ঘ সারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ৬, ২০২৫, ১০:৫৩ এএম


ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ধীরগতি, ২৫ কিলোমিটারে যানবাহনের দীর্ঘ সারি

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। 

শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানবাহনের চাপ। প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাড়ির ধীরগতি ও থেমে থেমে চলাচলের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, যমুনা সেতু থেকে টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত দীর্ঘ গাড়ির সারি। অনেক যাত্রী বাসে বসেই দীর্ঘ সময় আটকে আছেন, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের কষ্টের সীমা নেই। পশুবাহী শতাধিক গাড়িও আটকে পড়েছে এই ধীরগতির জটে।

এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ শরীফ জানান, “একাধিক বাস বিকল হওয়ায় সড়কে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। আশা করছি, শিগগিরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। রাতভর যানবাহন থেমে থেমে চলেছে। একই রাতে যমুনা সেতুর ওপর ও আশপাশে একাধিক গাড়ি বিকল হয়ে পড়ায় পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। রেকার দিয়ে এসব যান সরাতে সময় লাগায় সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট।

এছাড়াও সকাল সাড়ে ৭টার দিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা অংশে একটি মালবাহী ট্রাক উল্টে গিয়ে মহাসড়কে পড়ে যায়। এতে অন্তত তিনজন আহত হন এবং যান চলাচলে নতুন করে বিঘ্ন ঘটে।

কয়েকজন বাসচালক ও যাত্রী জানান, যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ, গাড়ি বিকল হওয়া এবং সময়মতো রেকার না পৌঁছানো—সব মিলিয়ে মহাসড়কে তৈরি হয়েছে দুর্ভোগের চিত্র। কেউ কেউ অভিযোগ করেন, মহাসড়কে পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও সংকট নিরসনে পর্যাপ্ত তৎপরতা দেখা যায়নি শুরুতে।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বলছে, সেনাবাহিনী ও পুলিশ একযোগে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। জরুরি ভিত্তিতে বিকল যান সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং রাস্তায় নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে একাধিক টিম।

পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, ঈদের আগের দু-তিন দিনে উত্তরবঙ্গমুখী এই মহাসড়কে যানজট একটি স্বাভাবিক চিত্র হলেও, এবারের দুর্ভোগ কিছুটা দীর্ঘ হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ইএইচ

Link copied!